স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে এই দেশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে আশা নিয়ে তিনি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছিলেন তা পূরণ হয়নি। তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ গড়তেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছে সরকার। তিনি আরো বলেন, ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের খাল ও নদী দখলমুক্ত করা হবে। গতকাল বুধবার রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের (ডিপিএইচই) দাফতরিক ও উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনা, পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এসএম গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভার আগে সকালে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হতদরিদ্র অবস্থা থেকে আমরা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য উন্নত জাতিতে পরিণত হওয়া। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। দুর্নীতি থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। আমাদের অনেক সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতাও রয়েছে। সেগুলো চিহ্নিত করে গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা না করলে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না।

রাজধানীর জলাবদ্ধতা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, জলাবদ্ধতার কারণগুলো চিহ্নিত করে অচিরেই কাজ শুরু এবং চলমান কাজকে ত্বরান্বিত করতে হবে। ঢাকা মহানগরীর খাল ও চারপাশের নদীসমূহ দখলমুক্ত করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে। বেদখলের সঙ্গে যারা জড়িত তারা যত প্রভাবশীই হোক, তাদের শাস্তি পেতে হবে। এছাড়াও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে প্রবেশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করতে ডিপিএইচইর প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন।

পর্যালোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, জনগণকে মানসম্মত সেবাদানে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকতে হবে।

সভায় জানানো হয়, দেশে ৯০-এর দশকে বিশুদ্ধ পানির আওতায় ছিল শতকরা ৭৪ ভাগ মানুষ। বর্তমানে দেশের শতকরা ৮৭ ভাগ মানুষ বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে। দেশে উন্মুক্ত মল ত্যাগের হার প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমেছে। দেশের ১৫৯টি পৌরসভাতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। ৯০টি পৌরসভায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হচ্ছে। সবার জন্য বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ চলছে বলেও জানানো হয়।

"