নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯

তারেকসহ সব অপরাধী ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু

আইনমন্ত্রী

বিদেশে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, শুধু তারেক রহমানই নন, বিদেশে অবস্থানরত সব অপরাধীকে ফিরিয়ে আনতে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ প্রক্রিয়া চলমান। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ/সমমনা কর্মকর্তাদের চার মাসব্যাপী ৩৮তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

জামায়াতকে ঐক্যফ্রন্টে নেওয়া ভুল ছিল ড. কামাল হোসেনের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, তিনি সকালে এক কথা বিকেলে আরেক কথা বলেন। তার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

এর আগে নবীন বিচারকদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, জনগণ যাতে আদালতের বাইরে বিরোধ নিষ্পত্তি করে সে বিষয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাদের ভালোভাবে বুঝাতে পারলে তারা এটিকে গুরুত্ব সহকারে নেবেন এবং সেই চেষ্টা করবেন।

আনিসুল হক বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচারকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। কেবল আইনের শাসনই নয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গণতন্ত্র সুসংহতকরণ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণেও জুডিশিয়ারি বিশেষ করে কোয়ালিটি জুডিশিয়ারির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই জনগণকে কোয়ালিটি জুডিশিয়ারি উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার বিচার বিভাগকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। মামলা জট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে যে, বিচারক হয়ে ওঠার পেছনে দেশের গরিব-দুঃখী-মেহনতি মানুষের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ অবদান রয়েছে। আর বিচারকদের কর্মক্ষেত্রই হলো বিচারপ্রার্থী এসব মানুষের শেষ ভরসাস্থল। তাই বিচারিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সাধারণ জনগণ বিচার বিভাগকে কোনো দৃষ্টিতে দেখছেন কিংবা তাদের চোখে ন্যায়বিচারের ধারণাই বা কেমন, সেটিকে বিবেচনায় নিয়ে কাজ করতে হবে। মোট কথা বিচারপ্রার্থী জনগণের অল্প সময়ে, অল্প ব্যয়ে ও সহজে ন্যায়বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। নিছক গতানুগতিক বা দায়সারা ভাব পরিহার করে কর্মক্ষেত্রে সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দিতে হবে।

বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খন্দকার মুসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) গোলাম কিবরিয়া।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইন সচিব আবু সালেহ মো. শেখ জহিরুল হক বলেন, প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। মনোযোগ সহকারে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে জ্ঞান অর্জন করে সেই জ্ঞান দেশ ও জাতির কাজে লাগাবেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ অস্তিত্বের বিষয়।

তিনি বলেন, একটি হাত বিচারকের, আরেকটি বারের। অতএব, বারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই বিচার কাজ পরিচালিত করতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close