নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ জানুয়ারি, ২০১৯

আওয়ামী লীগের যত সরকার

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের যত অর্জন তার পুরোটাই এসেছে ১৯৪৯ সালে গড়া এই দলের হাত ধরেই। মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে আজকের অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে যুদ্ধÑ সব ক্ষেত্রেই রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। ১৯৭১ সালের যুদ্ববিধ্বস্ত একটা ছোট্ট দেশ আজ বিশ্বে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃৃদ্ধির মডেল।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাবন্দি অবস্থায় ১৯৭০ সালের ১৭ এপ্রিলের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ। গঠিত হয় মুজিবনগর সরকার। সেই সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি লাভের পর তিনি লন্ডন যান। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উড্রো উইলসনের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘরোয়া বৈঠক করেন। তারপর দিল্লি হয়ে ১০ জানুয়ারি ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন। মুজিবনগর সরকারের নির্দেশবলে সেসময়ও তিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রধান বিচারপতির কাছে শপথ গ্রহণ করেন। পরে পদত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু সরকারের দায়িত্বভার গ্রহণের সময় বাংলাদেশ ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত মুমূর্ষু এক জনপদ। মুক্তিযুদ্ধকালীন ৯ মাসব্যাপী পাকিস্তানি মিলিটারি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস প্রভৃতি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এ দেশের ধ্বংসযজ্ঞে মেতে উঠেছিল। জ্বালাও-পোড়াও নীতির ফলে বাংলাদেশের প্রশাসনিক, অর্থনৈতিকসহ সব অবকাঠামো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। সেসময় দেশের স্কুল-কলেজ, শিল্প ও কল-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ তো বটেই, এসব ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু ১৯৭০ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুয়ায়ী ব্যাংক, বিমাসহ ৪০০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করেন। সরকার বড় পরিসরের পরিকল্পনা কমিশন, জাতীয় অর্থনীতি কমিশন গঠন করে। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার, তাদের পুনর্বাসন, ভারতের সোয়া লাখ সৈন্য ফেরত পাঠানো, মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের আটক ও বিচারের ব্যবস্থা করা, পাকিস্তানে আটক চার লাখ বাঙালিকে দেশে ফিরিয়ে আনা, কয়েক লাখ অবাঙালিকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো, নতুন দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক বিশ্বের স্বীকৃতি লাভের ব্যবস্থা করা, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বৈদেশিক সাহায্য সংগ্রহ প্রভৃতি কাজে বঙ্গবন্ধু সরকারকে নজর দিতে হয়েছে।

প্রকৃত অর্থেই বঙ্গবন্ধু সরকার গঠনের পর একটি কর্মযজ্ঞ সৃষ্টি করতে সফল হয়েছিলেন। বেসরকারি পর্যায় থেকে দেশ গঠনে একটি অঙ্গীকার প্রতিধ্বনিত হতে থাকে। বঙ্গবন্ধু সরকার যুদ্ধ-পরবর্তী দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা পুনর্গঠনে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালের মধ্যেই যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এখানেই তিনি থেমে থাকেননি, ড. কুদরত-এ-খুদার নেতৃত্বে জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করেছেন।

বঙ্গবন্ধু কৃষি ব্যবস্থাপনায় সর্বাধিক মনোযোগ দেন। কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশকসহ সব উপকরণ সরবরাহ করেন। বৈদেশিক সাহায্য-সহযোগিতা লাভে সরকার সফল হয়। সাধারণ জনগণের মাঝে বছরব্যাপী ত্রাণসামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল, গম ও কম্বল বিতরণ করা হয়। ১৯৭২ সালের মধ্যেই কৃষিক্ষেত্র ফিরে পায় স্বাভাবিকতা।

ক্ষমতা গ্রহণের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে কোনো সংবিধান ছিল না। স্বল্প সময়ের মধ্যে সংবিধান ও অন্যান্য যুগোপযোগী আইন প্রণয়নের গুরুদায়িত্ব সরকারকে পালন করতে হয়। একটি অসাধারণ সংবিধানসহ প্রয়োজনের নিরিখে বঙ্গবন্ধুর সরকার এক বছরের মধ্যে প্রায় দেড়শ আইন প্রণয়ন করে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় অসংখ্য কল-কারখানা, শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। তাদের ফেলে যাওয়া সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে বলে ১৯৭২ সালে আইন প্রণয়ন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য দালাল আইনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল (কোলাবোরেটরস স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল অর্ডার-১৯৭২) গঠন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা, নারী নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ অন্যান্য দুষ্কর্মে সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তি কমিটির সদস্যসহ অন্যদের বিচারের জন্য এ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ১২ হাজার যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ২৮ আগস্ট পাকিস্তানি আমলের গণবিরোধী ‘প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন অর্ডার’ বাতিল এবং নতুন প্রিন্টিং অর্ডিন্যান্স জারি করেন। তিনি মদ তৈরি ও বিপণন, সব ধরনের জুয়া খেলা নিষিদ্ধ করেন। ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচন ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে ১৪টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের সব সময় সম্মানের মণিকোঠায় রেখেছেন। তিনি তাদের গৌরবকে চিরস্মরণীয় করার জন্য ১৯৭৩ সালের ২৫ মার্চ ৫৪৬ ব্যক্তিকে রুক্তিযুদ্ধে শৌর্য ও সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য বীরত্বসূচক বীরশ্রেষ্ঠ, বীরউত্তম, বীরবিক্রম ও বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত করেন। তার মধ্যে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ, ৬৮ জন বীরউত্তম, ১৫৯ বীরবিক্রম ও ৩১২ জন বীরপ্রতীক।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ৫ মে বিনামূল্যে ভূমিহীন কৃষকের কাছে খাসজমি বণ্টনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্বশান্তি পরিষদের উদ্যোগে ঢাকায় এশীয় শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন শেষে বিশ্বশান্তি পরিষদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিওকুরি শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়।

‘কারো শত্রুতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব’Ñ এই দর্শনে পরিচালিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্রনীতি। তবে স্বাধীনতার পর সরকারের পররাষ্ট্রনীতির একটি বড় সাফল্য ছিল যুদ্ধের পর বাংলাদেশকে দ্রুত ইন্ডিয়ার সেনাবাহিনী থেকে মুক্ত করা।

বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্রনীতির সফলতার কারণে যুক্তরাজ্য ১৯৭২ সালের ২৪ মার্চ এবং পরবর্তী ২ বছরের মধ্যে বিশ্বের ১২১টি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। বঙ্গবন্ধুর উদার পররাষ্ট্রনীতির কারণে ১৯৭৩ সালে আলজেরিয়া, তিউনেসিয়া ও মৌরিতানিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।

১৯৭৪ সালের ১২ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় প্রথম জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন হয়। সম্মেলন উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও সোভিয়েত ইউনিয়ন, হাঙ্গেরি, জার্মানি, মঙ্গোলিয়া ও ভারতের অনেক লেখক ও বুদ্ধিজীবী অংশগ্রহণ করেন। এ সম্মেলনই আজকের একুশের বইমেলার সূচনা করেছে।

কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তার সব কর্মযজ্ঞ শেয় হয়ে যায় ঘাতকের নির্মম বুলেটে। তখন আওয়ামী লীগকে এক কঠিন সংকটে পড়তে হয়। এই সংকটময় মুহূর্তের মধ্যে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম ও বাধাবিপত্তি এমনকি বারবার হত্যাচেষ্টার মধ্যেও এগিয়ে চলেন। তার কঠিন শ্রম আর বিচক্ষণতার কারণে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী প্রথমবার ক্ষমতাসীন হন শেখ হাসিনা। ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত ৫ বছরে শেখ হাসিনা দেশ ও জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় ফিরিয়ে আনেন। দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে তিনি মাত্র ৫ বছরে দেশের চেহারা পাল্টে দেন। ১৯৯৬-২০০১ শাসনামলকে বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বর্ণযুগ বলা হয়ে থাকে। এর আগে দেশে যখন প্রতি বছর ৪০-৫০ লাখ টন খাদ্য আমদানি করতে হতো, তা ৫ বছরে শেখ হাসিনা ৫-১০ লাখ টনে নামিয়ে আনেন। তার শাসনামলে প্রথম ৫ বছরে বাংলাদেশ কৃষিভিত্তিক অর্থের ওপরে দাঁড়িয়ে যায়। ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্ত্বেও তিনি প্রথম ৫ বছরে দেশকে প্রায় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূূর্ণ করেন। এই ৫ বছরে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি সুনিয়ন্ত্রণে এনে তিনি উন্নয়নের গতিধারা বেগবান করেন। রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক শক্তিসমূহকে তিনি উন্নয়নের ধারায় সংশ্লিষ্ট করেন। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করে উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে সব প্রচেষ্টায় তিনি ব্যস্ত ছিলেন। ওই সময় গোটা প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় নীতিমালা এমনভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল যে, জনগণের সংশ্লিষ্টতার কারণে উৎপাদন ও উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হয়েছিল।

পরের বার বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পায় আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এই টানা ৯ বছরে এক বিস্ময়কর সাফল্য দেখিয়ে অনন্য ও ঈর্ষণীয় অবস্থান তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিচক্ষণতা ও নেতৃত্বের দৃঢ়তা দিয়ে এক নতুন বাংলাদেশ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছেন তিনি। তার হাত ধরে সফলতা এসেছে কূটনীতি, অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রেই। বন্ধন তৈরি করেছেন বিশ্বব্যাপী। ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক ও উন্নয়ন অংশীদারিত্বে স্থাপিত হয়েছে মাইলস্টোন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ১১-তে পৌঁছেছে। পরিকল্পনা করেছেন চট্টগ্রামকে দ্বিতীয় সিঙ্গাপুর বানানোর। বাস্তবায়ন হচ্ছে ১০০ ইকোনমিক জোন। অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে নজরকাড়া সাফল্য হিসেবে দেখা দিচ্ছে পদ্মা সেতু। পাশাপাশি চার লেন মহাসড়ক, উড়ালসড়ক এখন আর স্বপ্ন নয়, রীতিমতো বাস্তবতা। শেখ হাসিনার পরিকল্পনাতেই বাংলাদেশ এখন প্রায় সব ক্ষেত্রে ডিজিটাল। পাওয়া যাচ্ছে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎও। তার প্রযুক্তিবান্ধব কৃষিনীতির কারণেই বাংলাদেশ ইতোমধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পর রফতানির সক্ষমতাও অর্জন করেছে।

যুদ্ধাপরাধের বিচার ইস্যুতে জামায়াত দেশব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েও শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় ফাটল ধরাতে পারেনি। পরাক্রমশালী যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের চাপ কৌশলের বিপরীতে বিশ্বরাজনীতির দ্বিতীয় ধারার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততাও শেখ হাসিনার অনন্য রাজনৈতিক কৌশল। সব মিলিয়ে রাজনীতির মাঠে শেখ হাসিনা আছেন চালকের আসনে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম চাল উৎপাদনকারী দেশ। ফলের ফলনও ঈর্ষণীয়। ছাগল উৎপাদনে চতুর্থ, আম উৎপাদনে সপ্তম এবং পেয়ারা উৎপাদনে দেশ অষ্টম স্থানে। মাছ উৎপাদনেও চতুর্থ অবস্থান। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক দেশের দাবিও রাখে বাংলাদেশ। দেশি-বিদেশি অনেক অর্থনীতিবিদ, বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ, বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের অভিমতেও আমাদের অর্জনের বিস্তর স্বীকৃতি রয়েছে।

উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আবার জনগণ আওয়ামী লীগেই আস্থা রেখেছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি ভোটে বিজয়ী করেছে আওয়ামী লীগকে-শেখ হাসিনাকে। তারা বলছেন, শেখ হাসিনার হাতেই নিরাপদ বাংলাদেশ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close