প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৪ জানুয়ারি, ২০১৯

আমিরাতের অভিনন্দন

শেখ হাসিনার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পশ্চিমা দেশগুলোর

এবার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। আওয়ামী লীগের টানা তৃতীয়বার সরকার গঠনকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে পশ্চিমা দেশ ও সংস্থাগুলো। দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম। পৃথক বার্তায় তারা শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বলে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়। এছাড়া শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্র ফিজির প্রধানমন্ত্রী জেভি বাইনিমারামা।

অভিনন্দন বার্তায় বাইনিমারামা বলেন, ‘৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৮৮ আসনের এই বিশাল জয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আপনার নেতৃত্ব ও সক্ষমতার প্রতি বাংলাদেশের জনগণের আস্থারই প্রতিফলন।’

অন্যদিকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশিরা ভোটের পরপরই ঘোষণা দিয়েছিলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের এই তালিকায় ভারত, নেপাল, কানাডা এবং ওআইসির প্রতিনিধিরা থাকলেও অনেকের আগ্রহ ছিল, কি বলে পশ্চিমা দেশগুলো। ফল ঘোষণার পর একে একে ভারত, চীন, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, সৌদি আরব, কাতার, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

নির্বাচনের দুই দিন পর এবার সে কাতারে শামিল হয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর।

এ অবস্থায় সামনের দিনগুলোতে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর একে কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এসব অভিনন্দন বার্তায় মূলত দুইটি দিককেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে পশ্চিমা সংস্থাগুলো। দীর্ঘ ১০ বছর পর সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক ভোটারের উপস্থিতির বিষয়টি নজর কাড়ে তাদের।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘মানসিকতার পরিরর্তন একদিনে হয়নি। আমাদের কয়েক বছরে যাদের সঙ্গে অংশীদারিত্বটা শক্তিশালী হয়ে উঠেছে সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘দেশগুলোর পক্ষ থেকে ইতিবাচকতা আমরা পেয়েছি এটা আমাদের জন্য উৎসাহ এই কারণে যে তারা এই নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণের উৎসাহটা ইতিবাচক বলে মনে করছে।’

২০১৪ সালের পর সরকারকে অভিনন্দন জানাতে পশ্চিমাদের নানা টালবাহানার পর এবার এত দ্রুত তাদের সাড়া দেয়ার ঘটনাকে সরকারের ১০ বছরের চলমান উন্নয়নের প্রতি বিশ্বের স্বীকৃতি হিসেবে দেখছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা আর কারো ওপর নির্ভরশীল নই। আমরা এখন বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কূটনীতিতে সামনের দিনে বাণিজ্য কূটনীতি সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে।’

বিদেশিদের অভিনন্দন সত্ত্বেও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের প্রতি দেশের মানুষের যে আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে, নানা গতিশীল, টেকসই পরিকল্পনা দিয়ে তা পাকাপোক্ত করতে হবে সরকারকেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close