নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮

ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রতি সিইসি

নির্বাচনী উত্তাপে যেন পরিবেশ উত্তপ্ত না হয়

বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে, এই প্রচারণার সঙ্গে সঙ্গে ভোটের মাঠে ছড়িয়ে পড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ। এতে যাতে পরিবেশ উত্তপ্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম হুদা এ ধরনের মন্তব্য করেন।

আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নির্বাচন পূর্ব-অনিয়ম ও নির্বাচনের বিধি লঙ্ঘনে অপরাধীদের সাজা ও জরিমানা দিতে বিচারের জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কমিশন। দিনে দিনে সাধারণ মানুষ ও বিচারকদের মধ্যে একটা অদৃশ্য কৃত্রিম দেয়াল তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে কে এম হুদা বলেন, বিচারক ও বিচার প্রার্থীদের মধ্যে দেয়াল থাকার প্রয়োজন ছিল না। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সেই দেয়াল আরো কিছুটা শিথিল হবে। মানুষের কাছাকাছি গিয়ে বুঝতে পারবেন তারা কি চায়। এ প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র আরো প্রশস্ত হবে।

তিনি আরো বলেন, বিচারকদের মানুষের সঙ্গে মিশলে কোনো ক্ষতি নেই। মিক্সড আপ হবেন না। আপনার ব্যক্তিত্ব কতটা শক্তিশালী তার ওপর নির্ভর করে আপনি প্রভাবিত হবেন কি হবেন না। আইন, বিবেক আছে, আপনাদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা, ব্যক্তিত্ব প্রয়োগ করে একটি সুন্দর ও সাবলীল নির্বাচন করতে পারবেন।

বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে কে এম নুরুল হুদা আরো বলেন, আমাদের কাজ শুধু ৩০ তারিখ। সেদিন ভোট হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ করা, যেন কোনো সংঘাত না হয়, ভুল বোঝাবুঝি না হয়। সবাই যেন নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলেন, সেটা বুঝিয়ে দেওয়া।

ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা। এর জন্য যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন।

তিনি বলেন, একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, নির্বাচনের আগের দিন ও নির্বাচনের দিন যাতে সংঘাত হয় না। নির্বাচনের পরের সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভোটের দিনের চেয়ে বেশি সংঘাত হয় পরের দিন। অতি উৎসাহী লোক ও প্রতিহিংসাপরায়ণতার কারণে এসব হয়ে থাকে। ভোটের পরের দিন মিছিলের কারণে অনেকের মনে আঘাত লাগে, অনেকে কষ্ট পায়। এতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট হয়। আপনারা এ বিষয়টি খেয়াল রাখবেন, সজাগ থাকবেন। নির্বাচনী আইনে আছে নির্বাচনের পরের দিন কোনো শোডাউন হবে না। এটা কঠোরভাবে দেখতে হবে।

সিইসি বলেন, কমিশন অত্যন্ত আশাবাদী সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে থাকবে। হাজার হাজার মানুষ থাকবে। সব রাজনৈতিক দল একটি পজেটিভ অ্যাটিটিউড নিয়ে নির্বাচন শুরু করে দিয়েছে। এত বড় নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। আপনারা যখন মাঠে যাবেন আর কোনো সংঘাত ঘটবে বলেও মনে করি না। আপনারা সফল ও সার্থক নির্বাচন করবেন বলে আশা রাখি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close