নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮

ধানের শীষের প্রচারের নেতৃত্বে ড. কামাল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে এবার ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারে নেতৃত্ব দেবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে বরাবরের মতো এবারও ভোটের প্রচার শুরু করবেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীরা। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের শীর্ষ নেতাদের আজ মঙ্গলবার অথবা কাল বুধবার সিলেটে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে হযরত শাহজালাল (রহ.), হযরত শাহপরাণ (রহ.) ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীর মাজার জিয়ারত শেষে আনুষ্ঠানিক প্রচারে অংশ নেবেন তারা। দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের দন্ড নিয়ে কারাবন্দি বিএনপির শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া। দলের শীর্ষ নেতা তারেক রহমানও একাধিক মামলায় দন্ডিত হয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তাদের অনুপস্থিতিতেই প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবার ভোট করতে হচ্ছে বিএনপিকে। সঙ্গী দুটি বৃহৎ রাজনৈতিক মোর্চা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০-দলীয় জোট। দুই জোটের সব দল এবার ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছে।

ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি বরাবরই আলাদা একটি মাত্রা যোগ করে। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বিএনপির রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার কথাই শেষ কথা। সংকটময় মুহূর্তে যেকোনো সিদ্ধান্তের জন্য বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের পর বিএনপির রাজনীতি যখন মুখ থুবড়ে পড়েছিল, নেতারা যখন ছন্নছড়া, এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করছিলেন, তখন দলের প্রয়োজনে রাজনীতিতে আসেন আপাদমস্তক গৃহবধূ খালেদা জিয়া। দলের প্রাথমিক সদস্যপদ দেওয়ার পর তাকে করা হয় ভাইস চেয়ারম্যান। ধীরে ধীরে রাজনীতিতে পাকা হন খালেদা জিয়া। দলের চেয়ারপারসনের পদ দেওয়া হয় তাকে। রাজনীতিতে আলাদা ভাবমূর্তি গড়ে তুলেন তিনি।

১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন

১৯৯১ সাল থেকে বিএনপির প্রতিটি সংসদ নির্বাচনের কলাকৌশল নির্ধারণ ও প্রচারে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত দুটি নির্বাচনে তাকে সহায়তা করেছেন তার বড় ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনিও একাধিক মামলায় দন্ডিত হয়ে বিদেশে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। এমতাস্থায় খালেদা জিয়াকে ছাড়াই দলীয় মনোনয়ন ঠিক করেছে বিএনপি।

দুই মামলায় ১৭ বছর দন্ডিত হওয়ায় খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নের বৈধতা দেয়নি। আপিলেও প্রার্থিতা ফেরত পাননি। সব মিলিয়ে বিএনপি কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। এই প্রতিকূল পরিবেশেও বিএনপি জোট ভোটের মাঠে থাকার বিষয়ে প্রত্যয়ী। তারা যেকোনো মূল্যে ভোট করতে চায়। আর খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে তার বিকল্প হিসেবে ড. কামাল হোসেনের মতো একজন জাতীয় নেতাকে নির্বাচনী প্রচারের সামনে রাখতে চাইছে দুই জোট।

প্রতি নির্বাচনের আগে সিলেট থেকেই ভোটের প্রচার শুরু করার রেওয়াজ বিএনপির। এবারও তার ব্যত্যয় হচ্ছে না। এবার ড. কামালের নেতৃত্বে সিলেট থেকে ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচার শুরু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সড়কপথে সারা দেশে প্রচার চালাবেন দুই জোটের শীর্ষ নেতারা। এ সময় পথসভায় অংশ নেবেন নেতারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close