প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণে বিস্ময়কর কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা থেকে বাংলাদেশ কীভাবে উঠে দাঁড়িয়েছে তা তিনি দেখিয়েছেন। বাবার অসম্পন্ন কাজ শেষ করে বিস্ময়কর সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছেন শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ স্মরণে আয়োজিত এক সেমিনারে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এ কথা বলেন। জেএনইউ এবং ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারে জেএনইউ ভাইস চ্যান্সেলর এম জগদেশ কুমার এবং ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন পরিচালক মেজর জেনারেল ধ্রুব কোচ বক্তব্য দেন।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা থেকে বাংলাদেশ কীভাবে উঠে দাঁড়িয়েছে তা তিনি দেখিয়েছেন। তার সুযোগ্যকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবার অসম্পন্ন কাজ শেষ করে বিস্ময়কর সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছেন।

মুক্তিযোদ্ধা থেকে কূটনীতিক মোয়াজ্জেম আলী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন পিতা এবং কন্যা এই দুই মহান নেতা বাংলাদেশে অনন্য অবদান রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং তার কন্যা দেশটিকে সুরক্ষা দিয়েছেন। শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ ৭.৮৬% জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম বিকাশমান অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশকে এখন একটি ‘উন্নয়নশীল অর্থনীতির মডেল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি সেই সাহসী যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, যারা আমাদের স্বাধীনতার জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। যারা আমাদের পাশে থেকে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে লড়াই করেছেন, সেই বীর যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

"