নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ নভেম্বর, ২০১৮

স্থুলতা মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা

২০২০ সালের মধ্যে ২ লাখ কেজি ওজন কমানোর উদ্যোগ

বিশ্বে স্থুলতা একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ছোট থেকে বড় সবাই এখন এই সমস্যায় ভুগছেন। বিশ্বের প্রায় ১৯০ কোটি মানুষ অতিরিক্ত ওজনের কারণে নানা সমস্যায় রয়েছেন। যার মধ্যে প্রায় ৬৫ কোটি মানুষ বিভিন্ন মাত্রার স্থূলতায় ভুগছেন। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘স্থূলতা সম্পর্কিত’ একটি অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ঢাকা শহরেও স্থূল মানুষের সংখ্যা কম নয়। ক্রমবর্ধমান এ সমস্যাকে চিহ্নিত করে ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রথম পর্যায়ে ঢাকা শহরে ২০২০ সালের মধ্যে দুই লাখ কেজি ওজন কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার সারা দেশে স্থূলতা নিয়ে একটি অনলাইন জরিপের তথ্য তুলে ধরেন। বিভিন্ন বিভাগীয় পর্যায়ের মধ্যে ঢাকা শহরে শতকরা স্থূলতার হার ২৬ শতাংশ এবং ওভারওয়েট ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ। চট্টগ্রামে ৩৪ দশমিক ৯ শতাংশ স্থূল এবং ৪৪ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ ওভারওয়েট। খুলনায় ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ স্থূল এবং ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ ওভারওয়েট। রাজশাহীতে ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ স্থূল এবং ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ ওভারওয়েট। রংপুরে এ হার ২২ দশমিক ২ শতাংশ স্থূল এবং ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ ওভারওয়েট। সিলেটে ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ স্থূল এবং ৫৭ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ ওভারওয়েট। সারা দেশে ওভারওয়েট ৫৭ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ স্থূল।

প্রতিষ্ঠানের প্রধান পুষ্টিবিদ প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দা শারমিন আক্তার বলেন, সারা দেশে ধীরে ধীরে স্থ’ূলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে; যা ২০২৫ সালের মধ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। ¯ূ’’লতা প্রতিরোধযোগ্য। ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টারের স্থূলতা প্রতিরোধে বাংলাদেশে এই প্রথম ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নেওয়া হলো।

তিনি বলেন, শুধু খাদ্যাভ্যাস পাল্টে ও প্রয়োজনীয় ব্যায়ামের মাধ্যমে দেহের ওজন কমানো সম্ভব। দেখা গেছে, ওজন থেকেই আরো নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি হচ্ছে। ডায়েট মানে কম খাওয়া বা না খাওয়া নয়। কোনো ধরনের ফুড সাপ্লিমেন্ট ছাড়া বা ওষুধপত্র ছাড়াই সঠিক খাদ্যাভ্যাসে স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন পুষ্টিবিশেষজ্ঞ ও গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর শাহীন আহমেদ, বারডেম হাসপাতালের সাবেক প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার আলো, আয়েশা সিদ্দিকা, ফারজানা আনজিন। বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. এস কে রায় এবং পুষ্টিবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহীন আহমেদ। ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পুষ্টিবিদ সৈয়দা শারমিন আক্তার, ডায়েট কাউন্সেলিং সেন্টারের উপদেষ্টা আবিদ এ আজাদ প্রমুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close