বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা (ডেল্টা প্ল্যান) বাস্তবায়ন কাজ শুরু হলে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব ড. সামসুল আলম। তিনি বলেছেন, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ২০৪১ সালে উন্নত দেশে উন্নীত করতে বড় ভূমিকা পালন করবে। আর যদি এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না করা হয়, তাহলে এসব লক্ষ্যে পৌঁছানো খুবই দুরূহ হবে।

গতকাল শনিবার ‘টেকসই নগর ও জনবসতি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রাজধানীর বাংলামোটরের প্লেনার্স টাওয়ারে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লেনার্স (বিআইপি) আয়োজিত বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস ২০১৮ উপলক্ষে বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিআইপির সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক এ কে এম আবুল কালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দিন, বিআইপির ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ফজলে রেজা সুমন, ব্র্যাকের আরবান ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচির প্রধান হাসিনা মোশরেফা প্রমুখ। আর এ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন বিআইপির সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মুহাম্মদ খান।

ড. সামসুল আলম বলেন, যে জাতির ১০০ বছরের পরিকল্পনা থাকে, সে জাতি উন্নতি কেউ আটকে রাখতে পারবে না। এ কথা সত্যি যে, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ ভবিষ্যৎ প্রজšে§র জন্য বর্তমান প্রজšে§র শ্রেষ্ঠ উপহার।

তিনি আরো বলেন, বিগত ৬০ বছরের পানি ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত পরিকল্পনা ও প্রকল্পের ভালো-মন্দ বিশ্লেষণ করে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় আমরা গবেষণা করে জানতে পেরেছি, নদীভাঙনসহ অন্যান্য দুর্যোগে উপকূলীয় এলাকার ৫০-৬০ হাজার মানুষ প্রতিবছর গৃহহীন হয়ে পড়ছে। ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়ন হলে এসব গৃহহীন মানুষের হার অনেকাংশে কমে আসবে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় পরিকল্পনা। যে দেশের এমন পরিকল্পনা থাকে, সে দেশের অগ্রগতি কেউ দমিয়ে রাখতে পারে না। বাংলাদেশের অগ্রগতিও কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না। তবে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশের পরিকল্পনাবিদদের সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।

"