ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

  ০৮ নভেম্বর, ২০১৮

মুলার কেজি ২ টাকা

দুই টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মুলা। তবু ক্রেতা পাচ্ছেন না বিক্রেতারা। তাই বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ীরা এক বস্তা (৬০ কেজি) মুলা বিক্রি করছেন ১০০ টাকায়। এ দৃশ্য ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন বাজারের। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা য়ায়, এ বছর জেলায় সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ২৫০ হেক্টর। ইতোমধ্যে ৩ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হয়েছে। এর মধ্যে এককভাবে মুলার চাষ হয়েছে প্রায় ৫০০ হেক্টর।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার বিমানবন্দর, গিলাবাড়ী, মরিচপাড়া এলাকায় মুলা চাষিরা বিক্রয়ের জন্য গ্রাহক না পাওয়ায় মুলাসহ জমিতে হাল দিচ্ছেন। মরিচপাড়া এলাকার সুমন আলী বলেন, এক একর মুলার চাষ করেছি, ফলনও ভালো হয়েছে। প্রথমে দাম কিছুটা ভালো থাকলেও বর্তমানে কেজি ২ টাকা দামে মুলা বিক্রয় হচ্ছে। বিমানবন্দর এলাকার এক মুলা চাষি বলেন, চার একর জমিতে মুলার চাষ করেছি। বিক্রয়ের জন্য ব্যবসায়ী না পেয়ে মুলাসহ জমিতে হাল দিচ্ছি। আবারও ওই জমিতে আলুর চাষ করব। কষ্ট করে চাষ করে উৎপাদিত ফসলের সঠিক দাম পাচ্ছি না। এভাবে চলতে থাকলে চাষি টিকে থাকতে পারবে না।

স্থানীয় ব্যবসায়ী সোহাগ গাজী বলেন, কয়েক দিন আগেও মুলার দাম ভালো ছিল। অন্য জেলায় মুলার চাহিদা না থাকায় হঠাৎ দাম কমে গেছে। শুধু মুলা নয়, সব সবজির দাম কম। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আফতাব হোসেন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সবজির ফলন ভালো হচ্ছে। একই সঙ্গে সব সবজি বাজারে আসায় মুলার দাম কম পাচ্ছেন চাষিরা। তবে চাষিরা যদি পরিকল্পনা করে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সবজির চাষ করেন, তাহলে লাভবান হতে পারেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close