একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল আগামী বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা এ তফসিল ঘোষণা করবেন। গতকাল রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাৎ হোসেন। সন্ধ্যা ৭টায় নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এর আগে ৩৯তম কমিশন বৈঠকে তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশনার শাহাদাৎ হোসেন বলেন, সিইসির ভাষণ ৮ নভেম্বর অপরাহ্নে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করা হবে। তফসিলের পর ৪৫ দিনের কাছাকাছি সময়ে ভোট গ্রহণ করা হবে। ৪৫ দিন হিসাব করলে দেখা যায়, ২২ ডিসেম্বর হয়। এদিন শনিবার, ২১ ডিসেম্বর শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার। এদিকে ১৭ ডিসেম্বর সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ও ১৯ ডিসেম্বর বুধবার। আর ২৩ ডিসেম্বর ৪৬তম দিন হয়, এদিন রোববার হয়। এর আগে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছিলেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সংলাপ শেষে তফসিল দেওয়ার দাবি জানায়।

কমিশনার শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমরা অপেক্ষা করছি। গতকাল রোববার তফসিল দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। সব বিষয় বিবেচনা করে আমরা তফসিল পিছিয়ে দিয়েছি। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, কত আসনে ব্যবহার করা হবে, সে রকম সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সীমিতসংখ্যক আসনে হবে।

বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে আদালতের নির্দেশনার কারণে খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কি-না, এমন প্রশ্ন শাহাদাৎ হোসেন প্রথমে এড়িয়ে গেলেও উঠে যাওয়ার সময় বলেন, ‘পরে জানতে পারবেন।’

"