নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৪ নভেম্বর, ২০১৮

৭ নভেম্বরের পর আর আলোচনা নয় : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৭ নভেম্বরের পর আর কোনো আলোচনা নয়। সংলাপ দীর্ঘ সময় চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, কারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এর মধ্যেই হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে ৮৫টির মতো রাজনৈতিক দল সংলাপ চেয়েছে। গতকাল শনিবার জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর আওয়ামী লীগের সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।

সংলাপ কত দিন চলবে, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমরা ঐক্যজোট, যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ করেছি। ৪ তারিখ ১৪ দলের সঙ্গে, ৫ তারিখ জাতীয় পার্টির সঙ্গে। এর বাইরে আরো অন্তত ৩১টি আবেদন পেয়েছি। তিনি বলেন, তবে ৮ তারিখ পর্যন্ত যেতে পারছি না, ৭ তারিখে শেষ করব। ইসলামী দল, সিপিবির জোটের সঙ্গে বসব।’

সংলাপ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘আমরা সব সময় একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই, যেখানে সব দলের অংশগ্রহণ থাকবে এবং সেখানে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এর বাইরে সহিংসতার পথ বেছে নিলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এর কোনো ব্যত্যয় দেশের জন্য শুভ নয়। আমরা সতর্ক আছি, কারণ কারো মনে যদি হীন কোনো মতলব থাকে, কেউ যদি আজকে সংলাপে এসে লোক দেখানো অংশ নিয়ে ভেতরে-ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতির পাশাপাশি নাশকতার ছক আঁকে, সহিংসতার দিকে পা বাড়ায়, সেদিকেও আমরা সতর্ক আছি।’

নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে মন্ত্রী কাদের বলেন, ‘আমরা সংলাপও করছি, নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছি। কেউ যদি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করে, সেটার সমুচিত জবাবের প্রস্তুতিও আমরা নিচ্ছি। নির্বাচনের প্রস্তুতির নামে লোক দেখানো সংলাপের পেছনে নির্বাচন বানচালের মতো যেকোনো অপতৎপরতার বিষয়ে সতর্ক আছে আওয়ামী লীগ।’

সংলাপে বিএনপি সন্তুষ্ট নয়, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সবাই তো আর সন্তুষ্ট হবে না। বিএনপি সন্তুষ্ট হবে কি হবে না, আমরা দলনেতার কথা বিবেচনায় নিচ্ছি। তিনি কিন্তু বলেছেন ভালো আলোচনা হয়েছে, তাই আমরা সেখানেই আপাতত থাকি।’ ১৫ আগস্ট হত্যাকা-ের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা এবং ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যার ওপর গ্রেনেড হামলা করে ২৪ জনকে হত্যা করা এসব একই সূত্রে গাঁথা।

দিনের শুরুতে সকাল ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগ। পরে বনানী কবরস্থানে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অংশগ্রহণ করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close