৬ বছরের শিশু নাবিহা ইসলাম তাহসি। অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। তার ডান হাত কেটে ফেলার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু চিকিৎসা ব্যয় বহনে সংগতিহীন তাহসির বাবা এখন দেখছেন চোখে সর্ষে ফুল।

তাহসি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাধীন চান্দিশকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। পাশের নানার বাড়িতে থেকেই পড়ালেখা করে। স্কুল ছুটির পর অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই একটি অটোরিকশায় চড়ে নানার বাড়ি ফিরছিল তাহসি। কিছু দূর যাওয়ার পর হঠাৎ তাহসি অটোর মধ্য থেকে ছিটকে পড়ে যায়। এ সময় তার ডান হাতটি সড়কে ছেচড়িয়ে অনেক দূর পর্যন্ত নিয়ে যায় অটোচালক। তাহসি ও অন্য যাত্রীদের চিৎকারে অটোরিকশা থামায় চালক আলী হোসেন মিয়াজী। পড়ে স্থানীয়রা ব্যারিকেড দিয়ে অটোরিকশাটি আটক করে।

মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে চৌদ্দগ্রাম-লাকসাম সড়কের চাঁন্দিশকরায় গত ২৫ জুলাই বুধবার দুপুরে। স্থানীয়রা তাহসিকে উদ্ধার শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা শিশু সার্জিক্যাল কেয়ারে স্থানান্তর করা হয়।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, তাহসির ডান হাতের কব্জি ফেলে দিতে হবে। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার তাহসির নানা আলী আজম ও খালা ফারজানা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, তাহসির হাতের অবস্থা ভালো না। এ পর্যন্ত তার চিকিৎসায় ব্যয় হয়েছে ৭ লাখ টাকা। তাহসির বাবার বাড়ির লাকসাম উত্তর এলাকায়। তার বাবা মেজবাউল ইসলাম ফয়সাল সামান্য দোকানদারি করেন। মেয়ের চিকিৎসায় ব্যয় বহন করার তার কোনো সংগতি নেই। এ ঘটনায় তাহসির পরিবার অটোচালকের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান।

"