চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ০২ নভেম্বর, ২০১৮

পিবিআই পেল ১ মাসে আর থানা পুলিশের কাছে ১ বছরেও ছিল অধরা

চট্টগ্রামের পটিয়ায় পশ্চিম মনসাস্থ সিপাহীবাড়ীর পুকুরে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের ঘটনা তদন্ত করে থানা পুলিশ এক বছরে কাউকে ধরতে না পারলেও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এক মাসেই হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ভাড়াটে খুনিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন চট্টগ্রামের রাউজানের গরিব উল্লাহপাড়ার আবু তাহেরের ছেলে মো. রোকন উদ্দীন ওরফে মামুন (৪০), রাউজানের ব্রাক্ষণহাটের ছানা উল্ল্যাহের ছেলে মো. নাছির (২২) ও নোয়াখালীর হাতিয়ার উচখালীর মোশারফ হোসেনের ছেলে মো. জামশেদ (২৮)।

এদের মধ্যে রোকন হচ্ছে রাউজান থানার তালিকাভুক্ত অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে রাউজানের রাশেদ হত্যা, খায়েজ চেয়ারম্যান হত্যা, হাতকাটা রফিক হত্যা মামলা রয়েছে। এ ছাড়া পাঁচলাইশ থানার অস্ত্র মামলা ও একাধিক চাঁদাবাজি এবং আরো বিভিন্ন মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি রোকন। গ্রেফতার জামশেদ হচ্ছেন ভুক্তভোগীর বড় বোনের জামাই। পিবিআই জানায়, ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট সকাল ৬টায় পটিয়ায় পশ্চিম মনসাস্থ সিপাহীবাড়ীর

পুকুর থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার ১০ দিন পর পুলিশ জানতে পারে, লাশটি নোয়াখালীর হাতিয়ার পঞ্চায়েত গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে রুবেল উদ্দিনের (২৫)। ভুক্তভোগী পেশায় সিএনজি অটোরিকশা চালক ছিলেন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করে কিছু পাননি পটিয়া কালারপোল পুলিশ ফাঁড়ির তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আলী। পরে মামলাটি পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে গত ২৯ সেপ্টেম্বর তদন্তের দায়িত্ব পান পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার এসআই পরিতোষ দাশ। এরপর গত ৩০ অক্টোবর নগরের কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে এ ঘটনায় জড়িত রোকন উদ্দীনকে গ্রেফতার করা হয়। রোকনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে রাউজান থানা এলাকা থেকে নাছির ও জামশেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর তাদের গত বুধবার পটিয়া চৌকি আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে ভাড়াটে খুনি রোকন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বিশ্বেশ্বর সিংহ’র আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এতে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও জড়িত সাত আসামির নাম উঠে আসে।

পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে নাছিরের পরিকল্পনায় জামশেদ তার শ্যালককে ভাড়াটে খুনি দিয়ে খুন করান। হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য পানিতে ফেলে দিয়েছিল তারা। খুনের পর রুবেলের সিএনজি অটোরিকশাটি ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় তারা। গাড়িটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close