আগামী রোববার অনুষ্ঠেয় কমিশন সভায় আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) খান মো. নুরুল হুদা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ পরবর্তী বাইরে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান সিইসি। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আমরা যে প্রস্তুতি নিয়েছে তা রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছি, তিনি এ বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়া অপর চার কমিশনার (মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী) ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।

খান মো. নুরুল হুদা বলেন, আগামী ৪ নভেম্বর রোববার কমিশনের বৈঠকের পর যেদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণদওয়া হবে, সেদিন তফসিল ঘোষণা করা হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এটা কোনো জরুরি সাক্ষাৎ নয়। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ একটি আনুষ্ঠানিকতা। সামনে জাতীয় নির্বাচন। সে জন্য ভোটার তালিকা, ভোটকেন্দ্রসহ আমাদের প্রস্তুতি রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করলাম। এটা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া বা দেওয়ার কিছু নেই। তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

হঠাৎ সংলাপ আয়োজন সংক্রান্ত বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাংবিধানিক সংস্থার প্রধান বলেন, তফসিল ঘোষণার আগের এ সময় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের মধ্যকার সংলাপের বিষয়ে আমরা (নির্বাচন কমিশন) শ্রদ্ধাশীল। চলমান সংলাপের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন পরিকল্পায় কোনো প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘না, কোনো প্রভাব পড়বে না। আর নির্বাচন জানুয়ারিতে হবে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না। ৪ নভেম্বর কমিশন সভার পর জানা যাবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস আছে, নির্বাচনে সব দল অংশ নেবে। আপনাদের ওপর সব দলের আস্থা রয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা আমরা জানি না।

এর আগে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে তাদের নিয়ে সিইসি বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। সেখানে তারা দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেন। সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর থেকে নির্বাচনকালীন ক্ষণ-গণনা শুরু হয়েছে।

"