নিজস্ব প্রতিবেদক
পরীক্ষা শুরু ১ নভেম্বর
জেএসসি-জেডিসিতে বসছে সাড়ে ২৭ লাখ শিক্ষার্থী
এবার নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশে নেবে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এবারের অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন।
মন্ত্রী জানান, দেশের ২৯ হাজার ৬৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আগামী ১ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৯০৩টি কেন্দ্রে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। তবে পরীক্ষার জন্য ১ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার জেএসসি-জেডিসির ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ৬০১ জন ছাত্রী এবং ১২ লাখ ২৩ হাজার ৭৩২ জন ছাত্র। ছাত্রদের থেকে এবার ২ লাখ ২২ হাজার ৮৬৯ জন ছাত্রী বেশি।
৮ বোর্ডের অধীনে এবার জেএসসিতে ২২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৩ জন এবং মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে ৪ লাখ ২ হাজার ৯৯০ জন পরীক্ষা দেবে।
গত বছর এই পরীক্ষায় ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ জন অংশ নিয়েছিল জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার এই পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী বেড়েছে ২ লাখ ১ হাজার ৫১৩ জন।
এবার জেএসসিতে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫৩ জন এবং জেডিসিতে ৩৪ হাজার ২৫১ জন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবে বলেও জানান নাহিদ। তিনি বলেন, ১ থেকে ৩ বিষয়ে যারা অকৃতকার্য হয়েছিল তারাও এবার ওইসব বিষয়ে পরীক্ষা দেবে, এই সংখ্যা জেএসসিতে ২ লাখ ৩০ হাজার ৭৮৫ জন এবং জেডিসিতে ৩০ হাজার ৫৪৮ জন। বিদেশের ৯টি কেন্দ্রে এবার ৫৭৮ জন জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব পরীক্ষার্থীকে নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রবেশ করতে হবে। এবারও বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হবে বলে জানান নাহিদ। পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র, কর্মচারীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
নাহিদ বলেন, শ্রবণপ্রতিবন্ধীসহ অন্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা এবারও অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে। এছাড়া দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই তারা শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবেন।
এছাড়া অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম এবং সেরিব্রাল পলসিজনিত প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়া সুযোগ দেওয়া হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসোইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
"