আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ৩০ অক্টোবর, ২০১৮

ইন্দোনেশিয়ায় বিমান দুর্ঘটনা

লায়ন এয়ারের ১৮৯ আরোহীর সবার মৃত্যু

ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা থেকে পাংকাল পিনাংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করা বিধ্বস্ত বিমানটির ১৮৯ জন আরোহীর মধ্যে এখনো কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। তবে সাগরে ভেসে উঠছে দেহাবশেষ। খবর রয়টার্সের।

গতকাল সোমবার ইন্দোনেশিয়ায় ১৮৯ জন আরোহী নিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। লায়ন এয়ারের জেটি-৬১০ ফ্লাইটটি জাকার্তা বিমানবন্দর থেকে দেশটির দ্বীপ শহর পাংকাল পিনাংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। কিন্তু উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মাথায় সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

ঘটনাস্থল থেকে বিমানযাত্রীদের বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আশপাশের এলাকায় এসব সামগ্রী ছড়িয়ে পড়ার খবরও পাওয়া গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিধ্বস্ত হয়ে সমুদ্রের ২০ থেকে ৩০ মিটার গভীরে বিমানটি চলে যায়। কর্মকর্তারা জানান, লায়ন এয়ার ফ্লাইটের ওই বিমানটি প্রায় নতুন ছিল। তারা এখনো বেঁচে থাকা কারো সন্ধান পাননি। পাওয়ার কোনো সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। তবে উপকূল থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে দেহাবশেষ উদ্ধার করেছেন তারা। এক টুইটার বার্তায় ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি জানিয়েছে, যাত্রীদের বিভিন্ন ব্যবহার্য সামগ্রী

সাগরে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্সও রয়েছে। সংস্থার প্রধান মুহাম্মদ সাইয়াগু বলেছেন, এই ঘটনায় কেউ জীবিত আছে কিনা আমরা নিশ্চিত নই।

লায়ন এয়ারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানটির পাইলট ও কো-পাইলটের ১১ হাজার ঘণ্টারও বেশি উড্ডয়ন অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়া বিমানটিতে শিক্ষানবিশ ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ছিলেন। এর আগে ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর ১৬২ জন আরোহী নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরগামী এয়ার এশিয়ার একটি উড়োজাহাজ জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close