সংসদ প্রতিবেদক

  ৩০ অক্টোবর, ২০১৮

প্রতিক্রিয়ায় ইসি রফিকুল ইসলাম

আদালত বলতে পারবেন খালেদা নির্বাচন করতে পারবেন কি না

দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে যদি তা গ্রহণ হয় এবং আপিল বিভাগের রায়ে যদি তাকে নির্বাচনে একেবারে অযোগ্য করার ঘোষণার বিষয়টি নির্দিষ্ট করা না থাকে, তাহলে নির্বাচনে অংশ নিতে তার কোনো বাধা থাকবে না। তবে আপিলের রায়ে যদি সাজা স্থগিত করা না হয়, তাহলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদন্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নেত্রী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি নাÑ জানতে চাইলে এই মন্তব্য করেন রফিকুল ইসলাম। সাংবাদিকরা খালেদা জিয়ার নাম সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চাইলেও এ সময় কমিশনার বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে বা তার নাম উল্লেখ করেননি। তিনি বলেন, এটা যেকোনো নাগরিকের জন্য প্রযোজ্য।

উচ্চ আদালত নির্দেশ দিলে খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন জানিয়ে মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এটি আদালতের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করবে। তিনি বলেন, কোনো দলে দুই বছরের বেশি দন্ডিত হয়েছেন পূর্বে, এ রকম কোনো লোক একটি নির্দিষ্ট সময় পার না হলে প্রার্থী হতে পারেন না। যারা এখন দন্ডিত হয়ে দন্ড ভোগ করছেন, তাদের ক্ষেত্রে দন্ডটার যদি আপিল না থাকে, আপিলে যদি তাকে নির্বাচনে একেবারে অযোগ্য করার ঘোষণার বিষয়টা যদি নির্দিষ্ট করা না থাকে, তাহলে কিন্তু নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু যদি বলা থাকে, আপিলে সাজাটাকে স্থগিত করা হয়নি, তাহলে কিন্তু আমাদের পক্ষ থেকে তাকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া সম্ভব হবে না। এখন পর্যন্ত কিন্তু আমরা জানি না, উনি আপিল করবেন কি না। আপিল করলে সেখান থেকে কী ধরনের রায় আসবে। আপিল গ্রহণ করা হলো, শুধু এটুকু বলেই ছেড়ে দেওয়া হলো। আদালত আপিল সম্পর্কে আর কোনো বক্তব্য বললেন না। সেক্ষেত্রেও তার একটা সুযোগ থেকে যাবে বলে জানান তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইসি সরকারের মুখপাত্র নয়, রাষ্ট্রের মুখপাত্র। রাষ্ট্রে সরকার যেমন আছে, তেমনি বিরোধী দলও আছে। আমরা সংবিধানের বাইরে যাব না।’

ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি এটি আইনি কাঠামো না পায়, তাহলে সংসদ ভোটে ইভিএম ব্যবহার করার প্রশ্নই আসে না। আইনি কাঠামো পেলে মিনিমাম হলেও ইভিএম ব্যবহার করা হবে। সেনাবাহিনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলার প্রয়োজনে যদি সেনাবাহিনী নির্বাচনে আনতে হয়, তাহলে আমরা আনব। এটি প্রতিটি নির্বাচনেই হয়। সেনাবাহিনী স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close