নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিবি পরিচয়ে প্রতারণা
পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় ৬ ডাকাত রিমান্ডে
রাজধানীর উত্তরায় ডাকাত দলের সঙ্গে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গোলাগুলির ঘটনায় দায়ের করা ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় ও অস্ত্র আইনের মামলায় ৬ ডাকাতের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় একদিন ও অস্ত্র আইনের মামলায় দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন শামীম হোসেন, আল আমিন, মো. সেন্টু , সুধির দাস, আবু রায়হান ও মো. লিটন।
এর আগে মামলা দুইটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই আবু সাঈদ আসামিদের আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামি সেন্টুর পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। অপর ৫ আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
গত রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের রানা ভোলা এভিনিউয়ের ২২৩ নম্বর প্লটের সামনে ডাকাতের সঙ্গে ডিবি পুলিশের গোলাগুলি হয়। রাতে ভুয়া ডিবি সদস্য গ্রেফতারে অভিযানকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শামীম হোসেন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয়ের গোলাগুলিতে ডাকাত শামীম আহত হন। পাঁচ সহযোগীসহ তাকে আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, ম্যাগাজিন, ১ রাউন্ড গুলি, ওয়্যারলেস সেট (ওয়াকিটকি), হাতুড়ি, লিভার, স্কচটেপ ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি নোয়া মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় দুইটি মামলা করা হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, শামীমের নেতৃত্বে উদ্ধার নোয়া মাইক্রোবাস ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন স্থানে যাত্রী উঠিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। তারপর তাদের কাছে থাকা অস্ত্র, হাতুড়ি, লিভার, ওয়্যারলেস হ্যান্ডসেট, ভুয়া ডিবি জ্যাকেট দেখিয়ে ডাকাতি ও ছিনতাই করত। প্রথমে তারা কোনো ব্যবসায়ী অথবা সম্ভ্রান্ত যাত্রীকে টার্গেট করে। তাকে যাত্রী হিসেবে নোয়া গাড়িতে তোলে। তারা এ কাজগুলো গুলিস্তান থেকে মাওয়াঘাট অথবা আবদুল্লাহপুর বা গাবতলী থেকে আমিনবাজার, সাভার রাস্তায় করে থাকে। যাত্রীকে গাড়িতে তুলে তার চোখ-মুখ স্কচটেপ দিয়ে আটকে চোখে কালো চশমা পরিয়ে দেয়। তারপর তাদের অস্ত্রের ভয় দেখায় এবং শারীরিক আঘাত করে সঙ্গে থাকা টাকা মোবাইল ও এটিএম কার্ডে থাকা টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যায়।
"