চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ১৪ অক্টোবর, ২০১৮

চট্টগ্রামে হানিফের কাউন্টার ভাঙচুর

চট্টগ্রাম নগরে হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ভাঙচুর করেছে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। গতকাল শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে নগরের দামপাড়ায় মিছিল সহকারে জড়ো হয়ে হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ভাঙচুর শুরু করেন তারা। হানিফ পরিবহনের দাবি, ভাঙচুরে তাদের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ল্যাপটপ, নগদ টাকাসহ কিছু মালামাল খোয়া গেছে।

ভাঙচুরে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা বলছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি হানিফ পরিবহন সংস্থার মালিক মোহাম্মদ হানিফ। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। তার মালিকানাধীন হানিফ পরিবহনের গাড়ি চট্টগ্রামে চলতে দেওয়া হবে না। ঘটনায় অংশ নেওয়া একজন ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, মানুষের কাছ থেকে টাকা আয় করে তা সরকারের বিরুদ্ধে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, নিরীহ জনগণের বিরুদ্ধে ব্যয় করছে হানিফ পরিবহনের মালিক। তাই তার পরিবহনকে চট্টগ্রামে আমরা অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছি।

এদিকে, দুপুর সোয়া ২টার দিকে দামপাড়ায় শুরুতে পাথর ছুড়ে কাউন্টারের গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়। এরপর ভেতরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে খুলশী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি খুলশী থানার ওসি শেখ মো. নাসির উদ্দিন। ভাঙচুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আবু সাদাত মো. সায়েম।

দুপুরে ভাঙচুরের সময় হানিফ কাউন্টারে থাকা একজন যাত্রী বলেন, আমাদের বলা হয়েছে, আপনারা বেরিয়ে যান নয়তো আপনাদের ওপর হামলা হবে। এরপর আমরা বেরিয়ে গেলে ভাঙচুর শুরু হয়।

হানিফ পরিবহনের নগরের দামপাড়া কাউন্টারের বিক্রয় প্রতিনিধি মাহবুব বলেন, হঠাৎ কিছু যুবক এসে বলে, উপরের নির্দেশে কাউন্টার ভাঙতে এসেছি। এরপর শুরু করে দিল হামলা। টাকা-পয়সা যা ছিল সব নিয়ে গেছে। চারটি ল্যাপটপ, দুইটি ডেস্কটপ কম্পিউটার, প্রিন্টার, নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা, টিকিট বিক্রির আরো কিছু টাকা ছিলÑ যা ছিল সব নিয়ে গেছে তারা।

তিনি বলেন, হামলাকারীরা জেকি নামের একজনের নাম উল্লেখ করেছিল। তারা বলেছিল, দক্ষিণ জেলা যুবলীগ থেকে এসেছে। আমরা যখন ফোনে মহানগরের একজন নেতার সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতে চেয়েছি, তখন ওরা বলেছে আমরা মহানগরকেও চিনি না এখন। তিনি বলেন, হামলার একটু আগে নেপালের দুইজন নাগরিক টিকিট কিনেছেন, তারা ইউএসটিসির শিক্ষার্থী। যদি তাদের কিছু হয়ে যেত তাহলে দূতাবাসকে ঝামেলায় পড়তে হতো।

এদিকে, দামপাড়ায় কাউন্টার ভাঙচুরের আগে শাহ আমানত সেতু এলাকায় অবস্থান নিয়ে মিছিল-সমাবেশ করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা বন্ধ করে দেয় হানিফ পরিবহনের দুটি কাউন্টার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close