চট্টগ্রামে র‌্যাবের অভিযানে অসীম রায় বাবু প্রকাশ বা ডাইল বাবু (৩৯) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চার র‌্যাব সদস্য আহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে নগরীর মুরাদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। র‌্যাব ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে। নিহত বাবু বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব চাম্বল গ্রামের গুরু সদয় রায়ের ছেলে। তার বিরুদ্ধে নগরীর কোতোয়ালি থানায় তিনটি মামলা রয়েছে; এরমধ্যে দুইটি মাদক মামলা। অসীম রায় বাবু যুবলীগের স্থানীয় নেতা ছিলেন। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর

পদের স্বতন্ত্র প্রার্থীও ছিলেন তিনি।

এ ঘটনায় গুলিতে আহত চার র‌্যাব সদস্য হলেনÑ স্কোয়াড্রন লিডার সাফায়েত জামিল ফাহিম, মেজর মেহেদী হাসান, সৈনিক আরিফ ও ল্যান্স কর্পোরাল শহীদ। তাদের চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়।

র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মিমতানুর রহমান বলেন, মুরাদপুর ১ নম্বর রেল গেট এলাকায় র‌্যাব একটি প্রাইভেট কারকে থামানোর সংকেত দেয়। কিন্তু গাড়িটি না থামিয়ে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এ সময় গুলিতে এক মাদক কারবারির মৃত্যু হয়।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে তৎকালীন মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী ছাত্রলীগের ক্যাডার হিসেবে পরিচিতি পান বাবু। ওই বছরই অস্ত্রসহ গ্রেফতারের পর তার সাত বছরের জেল হয়। এরপর যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী হিসেবে দীর্ঘদিন নগরীর নন্দনকানন, রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ আশপাশের এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য গড়ে তোলেন। তিন বছর আগে বাবরের বন্ধু ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য জাফর উল্লাহর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে গ্রুপ ছাড়েন অসীম। এরপর নিজেকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন অসীম।

"