সংসদ প্রতিবেদক

  ১২ অক্টোবর, ২০১৮

সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ

কেবিনেট কমিটির সিদ্ধান্ত মানা হচ্ছে না

কেবিনেট কমিটির সিদ্ধান্ত আমলে নিচ্ছে না সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর-অধিদফতর ও প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের সেচ্ছাচারিতার কারণে সরকারি পাট কলগুলো সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। গতকাল বৃহস্পতিবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে কমিটির সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ত্বরিত পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ জানায়।

কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিতে বৈঠকে কমিটির সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রমাণিক, ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল ও সাবিনা আক্তার তুহিন অংশ নেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সংসদীয় কমিটির সূত্রমতে, বৈঠকে বিজিএমসি, পাট অধিদফতর, বস্ত্র অধিদফতরের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এ সময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে বিজেএমসি’র সর্বমোট মিলের সংখ্যা ৩২টি, যার মধ্যে চালু জুটমিল ২২টি, উৎপাদনে নেই ৩টি এবং মামলা জটিলতায় বন্ধ ১টি মিল। সভায় জানানো হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বিজেএমসির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬ হাজার ৭২৯ টন, বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ১৬ হাজার ২২০ টন। আলোচনা চলাকালে বিজিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি পাটগুলো সচল রাখতে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চায় কমিটি।

জবাবে মন্ত্রণালয় জানায়, কেবিনেট কমিটির সিদ্ধান্ত মানছে না অনেক প্রতিষ্ঠান। নিয়ম রয়েছে, বিজেএমসির কাছ থেকে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা তাদের প্রয়োজনীয় পাটের ব্যাগের ৫০ শতাংশ নেবে। কিন্তু তারা এ বিধান অমান্য করায় কেবিনেটের সিদ্ধান্ত শতভাগ বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।

বৈঠকে কমিটির সদস্যরা সরকারের সিদ্ধান্ত যারা মানছে না তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা পাট কলগুলো বাঁচাতে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সুপারিশ করেন। একইসঙ্গে পাটকলগুলোকে সচল রাখার জন্য সঠিক সময়ে পাট ক্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদান করতে মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগী হওয়ারও সুপারিশ করেন। এদিকে, বৈঠকে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। এ সময় জানানো হয়, দশম জাতীয় সংসদের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১ম থেকে ৩২তম সভায় সর্বমোট ৫৭টি সুপারিশ করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৫১টি সুপারিশ সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হয়েছে এবং ৬টি সুপারিশ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। একইসঙ্গে বৈঠকে জেডিপিসি’র কার্যক্রম গতিশীলতা করতে একটি স্থায়ী কাঠামো গঠনে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার সুপারিশ করেন কমিটি। এ ছাড়া সোনালি ব্যাগ প্রকল্পটি একটি টাস্কফোর্সের আকারে গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close