নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

বাংলাদেশের পোশাক কারখানা সবচেয়ে নিরাপদ : বার্নিকাট

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ কারখানাগুলোর মধ্যে পড়ে বলে জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া ব্লুম বার্নিকাট। তিনি বলেন, গত ৫ বছরে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের সহযোগিতায় দেশটির তৈরি পোশাক শিল্পে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এর বড় অংশ এ দেশে থাকার কারণে স্বচক্ষে দেখার সুযোগ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বার্নিকাট।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের মাধ্যমে এ দেশের লাখো শ্রমিক দারিদ্র্যের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে। আগামীতে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের বিশেষ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কষ্টার্জিত অগ্রগতিকে ধরে রাখার পরামর্শ দেব।

বার্নিকাট আরো বলেন, পোশাক শিল্পে সামনে সবচেয়ে বড় বাধা শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ বিষয়ের অগ্রগতি ছিল শ্লথ। আমি এ কথাটি অনেকবার জোর দিয়ে বলেছি। আবারও বলব, আন্তর্জাতিক শ্রমনীতি মেনে চলা বুদ্ধিমানের কাজ। এজন্য দ্রুত আইনগত পরিবর্তন জরুরি, এটা সম্ভব করা গেলে বিদেশের বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াবে। কারণ, ভোক্তারা এখন ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শ্রম ইস্যুগুলো বেশি বিবেচনায় নেয়। আর শ্রমনীতি মানতে দেরি করলে এ দেশের সুনাম ক্ষুণœ হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।

বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সরকার শ্রমবান্ধব, ব্যবসায়বান্ধব। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে দেশে অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে, প্রবৃদ্ধি এখন ৮ শতাংশের কাছাকাছি। সম্প্রতি পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের মজুরি ৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। তিন ধাপে ৩৮১ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে। অথচ বিগত বছরে যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের পণ্যের মূল্য কমেছে ১১ দশমিক ৭২ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা যাতে ‘ফেয়ার প্রাইস’ দেন বিষয়টি দেখার জন্য বার্নিকাটের প্রতি অনুরোধ জানাই। একইসঙ্গে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল করার দাবি জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close