আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মিয়ানমার জেনারেলের ঔদ্ধত্য

জাতিসংঘের হস্তক্ষেপের অধিকার নেই

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাং বলেছেন, মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপের কোনো অধিকার নেই জাতিসংঘের। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের বিচারের জন্য জাতিসংঘের তদন্তকারীদের আহ্বানের এক সপ্তাহ পর এই মন্তব্য করলেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, গত রোববার সেনাদের উদ্দেশে ভাষণ দেন মিয়ানমার সেনাপ্রধান। মিয়ানমারের মানবাধিকার নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ বিষয়ে এটাই তার প্রথম প্রতিক্রিয়া। মিয়ানমার সেনাবাহিনী পরিচালিত দৈনিক পত্রিকা মিয়াওয়াদির বরাত দিয়ে এএফপি সেনাপ্রধানের বক্তব্য তুলে ধরেছে। তিনি বলেন, কোনো দেশ, সংস্থা বা গোষ্ঠীর হস্তক্ষেপের বা দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই।

২৭ আগস্ট এক প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা গণহত্যায় সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্টতার কথা তুলে ধরে জাতিসংঘ। প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনীর সঙ্গে বেসামরিক কর্তৃপক্ষও এ গণহত্যায় ইন্ধন জুগিয়েছে। রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চিও তার সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে এ সহিংসতা থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন। জাতিসংঘ জানায়, রাখাইনে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ নিয়ে মিয়ানমার সরকারের প্রত্যাখ্যান ও অস্বীকারের মাত্রায় তারা অবাক হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে মন্তব্য করা হয় প্রতিবেদনটিতে। সেখানে ছয় সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়, যার মধ্যে ছিলেন সেনাপ্রধানও।

গত বছরের ২৫ আগস্ট নিরাপত্তাচৌকিতে আরসার হামলাকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানের কারণ বলা হলেও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিতে এবং তাদের ফেরার সব পথ বন্ধ করতে আরসার হামলার আগে থেকেই পরিকল্পিত সেনা-অভিযান শুরু হয়েছিল। চলমান জাতিগত নিধনে হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close