চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

দেখতে দেখতে ১০ বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর

ওবায়দুল কাদের

‘দেখতে দেখতে ১০ বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর? ১০ বছরে হয়নি, এক মাসে আন্দোলন হবে? মানুষ এখন ভোট নিয়ে ব্যস্ত, আন্দোলন কেউ চায় না। আর আন্দোলনই বা করবে কেন? বাংলাদেশে গত ১০ বছরে যে লাগাতার উন্নয়ন হয়েছে, তা বিএনপি চোখে না দেখলেও সারা বিশ্ব দেখেছে, এদেশের সাধারণ মানুষ দেখেছে।’ কথাগুলো বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ক্রসিং এলাকায় কর্ণফুলী ও আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে সেতুমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।

সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সামনে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী-আনোয়ারা আসনে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদকে প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের নামে নাকি একটি চিঠি এসেছে, উনাদের নাকি দাওয়াত দিয়েছে। ফখরুল সাহেব (বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) পত্রপত্রিকা-মিডিয়ায় প্রচার করেছেন যে, জাতিসংঘের মহাসচিব তাকে দাওয়াত করেছেন। তিনি জাতিসংঘে গেলেন। মহাসচিব তখন ঘানায়। মহাসচিব যুক্তরাষ্ট্রে নেই। তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মকর্তার সঙ্গে অনেক অনুনয়-বিনয় করে কিছুক্ষণ কথা বলেছেন। নালিশ করে দেশে ফিরে এসেছেন।

তিনি বলেন, আমার প্রশ্নÑ জাতিসংঘের মহাসচিব দাওয়াত করেছে বলে কেন বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হলো? আমার প্রশ্ন- কেন মিথ্যাচার করা হলো?’ এর মধ্য দিয়ে কি প্রমাণ হয়? ভুয়া ভুয়া ভুয়া। বিএনপি ভুয়া। ফখরুলও ভুয়া। এরকম প্রতারক দল ক্ষমতায় এলে দেশে গণতন্ত্র থাকবে না, দেশের নিরাপত্তা থাকবে না। দেশের উন্নয়ন হবে না।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামোচ্চারণ করে বলেন, কর্ণফুলী বিএনপির ঘাঁটিÑ এরকমই জানে চট্টগ্রামের মানুষ! কিন্তু এখন আপনি (ফখরুল ইসলাম) দেখে যান, সেই ঘাঁটি এখন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। কর্ণফুলী এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে। কর্ণফুলী এখন শেখ হাসিনার সঙ্গে। কর্ণফুলী এখন তরুণ জননেতা জাবেদের সঙ্গে।

আওয়ামী লীগের সড়কযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এই সমাবেশে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ওদের (বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য) ‘হ্যাডম’ নেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। কিন্তু তাদের ‘হ্যাডম’ নেই সেখানে সভা করার। যুক্তফ্রন্ট ঐক্য প্রক্রিয়ায় যেখানেই মিটিং করতে চায় সেখানেই মিটিং করবে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন যে, যেখানে সমাবেশ করতে চায় সেখানেই করুক। কিন্তু তারা বড় জায়গায় যান না। তারা পল্টনে ঢুকে যায়, নাট্যমঞ্চে ঢুকে যায়।

কর্ণফুলী উপজেলায় পথসভা শেষে লোহাগাড়া উপজেলার দিকে রওনা হয় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলটি। সেখানে আরেকটি পথসভা শেষে কক্সবাজার দিকে যান দলটির নেতারা।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ জামাল আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসলেম উদ্দিন প্রমুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close