প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আইসিসি মিয়ানমারের বিচারে সক্ষম

জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেছেন, আইসিসি (আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত) নিজেই রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধন ও গণহত্যায় মিয়ানমারের বিচার করা সক্ষম। গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ওই সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত জাতিগত নিধনযজ্ঞ, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্তে নিরাপত্তা পরিষদ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতÑ আইসিসির কাছে সুপারিশ করবে কিনা? উত্তরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিচার করার পক্ষে দেওয়া আইসিসিরি মতামতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে গুতেরেস বলেন, এরই মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে মোকাবিলার সামর্থ্য প্রমাণ করেছে আইসিসি।

মিয়ানমার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সনদে স্বাক্ষর করেনি। সে কারণে সরাসরি সে দেশে সংঘটিত অপরাধ বিচারের এখতিয়ার আইসিসির নেই। সনদে স্বাক্ষর না করা দেশকে আইসিসি তখনই বিচারের আওতায় নিতে পারে, যখন নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়। তবে মিয়ানমারের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত এসেছে আইসিসির পক্ষ থেকে।

আইসিসির প্রসিকিউটর ফাতো বেনসুদার করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডসের হেগে সংস্থাটির তিনজন বিচারক বিশিষ্ট প্রি-ট্রায়াল কোর্ট মিয়ানমারের বিচারের পক্ষে রায় দেন। রায়ে বলা হয়, মিয়ানমার এই আদালতের সদস্য না হলেও বাংলাদেশের অন্যতম সদস্য দেশ। তাই এ ঘটনার বিচার করার এখতিয়ার আদালতের রয়েছে। কারণ আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশের ধরনের জন্যই এই বিচার সম্ভব। এই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় এরই মধ্যে অধিকতর তদন্ত শুরু করেছেন আইসিসির প্রসিকিউটররা।

গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক জানতে চান, নিরাপত্তা পরিষদ রোহিঙ্গা ইস্যুটি আইসিসিতে পাঠাবে কিনা। এর জবাবে গুতেরেস ওই সাংবাদিকের উদ্দেশে বলেন, আইসিসি ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে ওই বিচার প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে। আপনি যে ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদকে যুক্ত হতে বলছেন, এরই মধ্যে সেই বিষয়টির মীমাংসা হয়ে যায়। গুতেরেস বলেন, ‘আমি যতটুকু বুঝতে পারছি, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এ বিষয়ে নিজেদের সক্ষমতার বিষয়টি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। ইতোমধ্যেই তারা বিষয়টি (রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ) খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে।’

উল্লেখ্য, চলতি মাসেই আইসিসি মিয়ানমারের বিচারের পক্ষে রায় দেওয়ার পর আইনজীবী ফাতো বেনসুদা জানান, রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক বিতাড়িত করার সময় তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধগুলো যুদ্ধাপরাধ নাকি মানবতাবিরোধী অপরাধ তা খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close