নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

বৃহত্তর ঐক্যে প্রত্যেক দলের প্রতিনিধি চাই

ড. কামাল

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গঠনে ড. কামাল হোসেনকে নেতৃত্বে রাখতে নীতিগতভাবে সম্মত বিএনপি। তবে এককভাবে নয়, প্রত্যেক দল থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ঐক্যের নেতৃত্বে দেখতে চান প্রবীণ এই আইনজীবী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মতিঝিলে নিজের চেম্বারে বসে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।

গত কয়েকদিনে একাধিক বৈঠকের পর ড. কামাল হোসেনকে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্যের নেতৃত্বে রাখতে নীতিগত অবস্থান নেয় বিএনপির স্থায়ী কমিটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমার ওপর বিএনপির আস্থার বিষয়টি আমার মূল্যায়ন করার কথা নয়। তবে কেউ যদি এমনভাবে বলে, তাহলে তো আমি গর্ববোধ করব।’ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ড. কামাল আরো বলেন, ‘নেতৃত্ব নির্ধারণ হবে যৌথ নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে। আর যেখানে অনেক রাজনৈতিক দল থাকবে, সেখানে দলীয় নেতৃত্ব থাকবে। কোন দল থেকে কে নেতৃত্ব দেবেন, সেটা সংশ্লিষ্ট দল ঠিক করবে। এটি একজন বা দুইজন করে হতে পারে।’

এদিকে, আগামী কাল শনিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সমাবেশ থেকে দাবি আদায়ে কর্মসূচি দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন ড. কামাল হোসেন। এ-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আজ শুক্রবার নাগাদ চূড়ান্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে যুক্তফ্রন্ট-জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার বৈঠক থেকে কর্মসূচির রূপরেখা তৈরি হবে।

ড. কামাল হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেশের বর্তমান বিরাজমান অবস্থা, তার পরিবর্তনের পক্ষে জনগণের মধ্যে একটি ঐকমত্য গড়ে উঠেছে। এই ঐকমত্যকে একটি কার্যকর লক্ষ্যের দিকে যাওয়াই সমাবেশের মূল ফোকাস। সমাবেশে থেকে কর্মসূচি আসার সম্ভাবনা আছে।’ জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সমাবেশ থেকে একটি যৌথ বক্তব্য দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঐক্যপ্রক্রিয়ার নেতাদের একটি সমন্বিত বক্তব্যের সঙ্গে সমাবেশে আসা রাজনীতিকদের সম্মতি নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে সমাবেশে আসতে জামায়াতে ইসলামী বাদ দিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বিভিন্ন পেশাজীবীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ড. কামাল আশাবাদী, ‘সমাবেশে সবাই আসবেন।’

২২ সেপ্টেম্বরের সমাবেশ থেকে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য ঘোষণা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আজকালের মধ্যে আবার বসব। শুক্রবার তো আছে। এগুলো এখনো ঠিক হয়নি।’ এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘সমাবেশে চমক থাকবে। তবে নতুন কোনো দফা দেওয়া হবে না। যুক্তফ্রন্ট-জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার দফা ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে।’

‘ড. কামাল বরাবরের মতো কর্মসূচি দেওয়ার পর বিদেশে চলে যান’ রাজনৈতিক মহলের এমন সমালোচনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন তিনি। খ্যাতিমান এই আইনজীবী বলেন, ‘সারা বছরে আমি কয়বার বিদেশে গেছি? এটার একটা তালিকা দিয়ে দেবেন পত্রিকায়। এগুলো খামাখা কথা। এখন না, দুই-তিন বছর আগে আমার কাজ বেশি থাকত, তখন হয়তো যেতাম। এ বছর আমি কয়বার গেছি? এসব শুধু বলার জন্য বলা হয় আর কি!’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ড. কামাল হোসেনের বিদেশ সফর নিয়ে কথা বলেছেন। এর আগে গত মাসে যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে তার বৈঠকে আ স ম আবদুর রব অনুরোধ করেছেন, আগামী নির্বাচনের আগে বিদেশ না যেতে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close