নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

সরকারি চাকরি

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা না রাখার সুপারিশ

সরকারি চাকরির নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেড পর্যন্ত, অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোনো ধরনের কোটা না রেখে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নিয়ম চালু করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করেছে কোটা পর্যালোচনায় গঠিত ‘উচ্চপর্যায়ের কমিটি’। সরকারের এ কমিটির নেতৃত্বে থাকা মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান। তিনি বলেন, কোটা নিয়ে প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাবমিট করে দিয়েছি। আমাদের ফাইন্ডিংস হলোÑনবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত যে প্রাথমিক নিয়োগ হয়, সেখানে কোনো কোটা থাকবে না।

কমিটির এই সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পেলে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে আগামী মাসেই তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হতে পারে বলে জানান শফিউল আলম। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত; এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ত্রয়োদশ থেকে বিংশতম গ্রেডে নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের নিয়মই বহাল থাকবে। আমাদের ফাইন্ডিংস অনেক ছোট, তবে প্রতিবেদন অনেক বড়, আমরা আইন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছি। তারা বলেছে, এটি সরকারের পলিসি ডিসিশন, কোনো সমস্যা নেই। সরকারি কর্মকমিশন ইতোমধ্যে ৪০তম বিসিএসের যে বিজ্ঞাপন দিয়েছে, তার ওপর এই সুপারিশের কোনো প্রভাব পড়বে কিনা- এই প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেখানে বলা আছে, সরকার যদি ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত নেয়-সে অনুযায়ী কোটা নির্ধারিত হবে। সরকারের

তরফ থেকে বলা হয়েছিল, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কিংবা প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা অন্য কোনোভাবে রাখা যায় কিনা-তা ভাবা হবে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শফিউল আলম বলেন, তারা যাচাই-বাছাই করে দেখেছেন, এখন কোটা ‘না হলেও চলতে পারে’।

আদালতের একটি নির্দেশনা আছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে। এ বিষয়ে আমরা এক্সামিন করেছি। আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সরকার পলিসি ম্যাটার হিসেবে যেটা সিদ্ধান্ত দেবে, সেটা ঠিক আছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close