নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

৫১ বছরে পদ্মার পেটে ২৫৬ বর্গমাইল : নাসা

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা বলেছে, ১৯৬৭ সাল থেকে পদ্মার কারণে ৬০ হাজার হেক্টরের (২৫৬ বর্গমাইল) বেশি জমি ভাঙনের শিকার হয়েছে। আগস্ট মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে নাসা আর্থ অবজারভেটরি। নাসার প্রতিবেদনে ভাঙনের জন্য দুটি প্রধান কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এক, পদ্মা প্রাকৃতিকভাবে নিজের মতো চলতে পারা একটি নদী, যার তীর বাঁধার তেমন চেষ্টা করা হয়নি। শুধু মাঝেমধ্যে বালুর বস্তা ফেলে ঘর-বাড়ি রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে। দুই, পদ্মার তীর এলাকায় বালুর পরিমাণ বেশি হওয়ায় তা সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হতে পেরেছে।

স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করে নাসার পর্যবেক্ষকরা পদ্মা সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেছেন। নাসার ল্যান্ডস্যাট কর্মসূচির আওতায় থাকা বিভিন্ন স্যাটেলাইট থেকে বছরের পর বছরের পদ্মার ছবি তোলা হয়েছে। এরপর ইউটিউবে আপলোড করা এক ভিডিওতে ১৯৮৮ সালের পর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পদ্মার বিভিন্ন ছবি দেখানো হয়েছে।

ছবি বিশ্লেষণ করে নাসার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, গত তিন দশকে পদ্মা একটি সরু ও সোজাসুজি চলা নদী থেকে সর্পিল আকৃতি ধারণ করে অতি সম্প্রতি আবার সোজা চলা নদীতে পরিণত হয়েছে।

প্রতিবেদনটি জানাচ্ছে, ১৯৯২ সালে পদ্মা প্রথম বাঁক নেওয়া শুরু করেছিল। এরপর ২০০২ সাল থেকে সেটি কমতে শুরু করে। আর এখন সেটি থেমে গেছে।

চলার পথে বাঁক নেওয়ার সময় পদ্মা তার আশপাশের জমি, ঘরবাড়ি সব ভেঙে নিয়ে গেছে। ফলে ওই সময় নদী ভাঙনের ঘটনা বেশি ঘটেছে। আর এখন পদ্মা আবার সোজা চলা নদী হয়ে যাওয়ায় ভাঙনের হার একটু কমেছে বলে মনে করছেন নাসার পর্যবেক্ষকরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close