প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

দ্য হিন্দুকে জাতিসংঘ কর্মকর্তা

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জঙ্গি তৎপরতার আলামত নেই

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে মা-বাবা হারানো রোহিঙ্গা শিশু-কিশোরদের জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা নাকচ করে দিয়েছেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সুম্বুল রিজভী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা শিবিরে কাজ করার সময় এমন কোনো আলামত তারা দেখেননি। এ ধরনের হুমকি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়ার মতো সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন এই কর্মকর্তা। গত বছরের আগস্টে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর রাখাইনে পূর্বপরিকল্পিত সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ওই অভিযানে জাতিগত নিধনযজ্ঞের আলামত পেয়েছে। সম্প্রতি জাতিসংঘ মিয়ানমারের মানবাধিকার নিয়ে এক তদন্ত প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর পক্ষ থেকে সুম্বুল রিজভীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্যাম্পে থাকা শিশুদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হওয়ার সংকট কতটা বেশি, যেখানে এদের বেশির ভাগই পিতৃহীন ও সদস্য সংগ্রহে তৎপর থাকা জিহাদি সংগঠনের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে? জবাবে সুম্বুল বলেন, ‘আমরা যখন থেকে রোহিঙ্গা শিবিরে কাজ করছি, আপনাদের বলতে পারি শিবিরে এ ধরনের কোনো আলামত আমরা দেখিনি। বাংলাদেশ দায়িত্বশীল দেশ এবং এ ধরনের হুমকি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে সক্ষম। বাংলাদেশ সরকার বেশ কয়েকটি পুলিশ স্টেশন স্থাপন করেছে এবং ৭০ জনেরও বেশি জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে মোতায়েন করেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তারা ব্যবস্থা নেবেন।’

রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নেওয়া কিশোর-কিশোরীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন সুম্বুল। রোহিঙ্গাদের সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, খালি চোখেই দেখা যায় আমরা একটা বিপর্যয়ের মুখে দঁাঁড়িয়ে নেই, আমাদের চোখের সামনেই বিপর্যয় ঘটে চলেছে।

জাতিসংঘ কর্মকর্তা জানান, এই বছর সংস্থার জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান সম্ভাব্য তহবিলের মাত্র ৩৪ শতাংশ পেয়েছে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে শ্লথ গতির বিষয়ে সুম্বুল বলেন, আমরা আশা করি মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সরকার প্রত্যাবাসনের জন্য সংলাপ চালিয়ে যাবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের সহযোগিতা করবে। তারা (রোহিঙ্গা) মিয়ানমার ছাড়তে চায়নি। তারা আসলে নিপীড়ন থেকে পালিয়ে এসেছে। তারা রাখাইনকে নিজেদের বাড়ি দাবি করে। কিন্তু তাদের নিরাপত্তা ও সম্মান নিশ্চিত না করে আমরা তাদের ফেরত পাঠাতে পারি না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close