ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেখান থেকে তাদের জামিনে মুক্ত করতে ও মামলার খরচ চালাতে তৈরি করা হয়েছে ‘ছিনতাইকারী কল্যাণ ফান্ড’। ফান্ডের সদস্যরা সবাই পেশাদার ছিনতাইকারী। গত শুক্রবার রাজধানীর নিউমার্কেট ও যাত্রাবাড়ী থেকে ৮ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্য নিয়ে গতকাল শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আবদুল বাতেন।

তিনি আরো জানান, ছিনতাই করা টাকা ভাগাভাগি করে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিয়ে তৈরি হয়েছে ‘কল্যাণ ফান্ড’। সে ফান্ডের টাকা ব্যয় করা হয় সহযোগীদের আদালত থেকে ছাড়িয়ে আনা ও চিকিৎসার কাজে। কল্যাণ ফান্ডের আকার নেহাত কম নয়। এমনই এক ছিনতাইকারীদের কল্যাণ ফান্ডের হদিস পেয়েছে গোয়েন্দারা। ফান্ড থেকে জব্দ করা হয়েছে ৮ লাখ টাকা। যার পুরোটাই ছিনতাইয়ের। এ ঘটনায় গ্রেফতার ব্যক্তিরা হচ্ছেন- সাজ্জাদ হোসেন সাগর, আলী হাসান, সবুজ বিশ্বাস, রকি নুরুজ্জামান, মুক্তা বেগম, বেবি আক্তার, নুপুর, ঝুমুর ও লিটন মিয়া। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, একটি চাপাতি, দুটি চাকু এবং ১২টি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইকারীরা বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব সামনে রেখে মার্কেটে আসা ক্রেতাদের মোবাইল ও টাকা-পয়সা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে। এ ছাড়াও তারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই করে। তারা মাসে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা ছিনতাই করে থাকে। বিভিন্ন স্থানে অপরাধ সংগঠনের পর দ্রুত পালানোর জন্য তারা আটক মাইক্রোবাসটি ব্যবহার করত। আসামিদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী ও নিউমার্কেট থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে।

এদিকে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অজ্ঞান পার্টির ৫৭ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত শুক্রবার রাত থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

"