নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৬ আগস্ট, ২০১৮

সড়কে শৃঙ্খলায় পরিবহনে চালু হচ্ছে কাউন্টার সেবা

এবার রাজধানীতে চালু হচ্ছে কাউন্টার বাসসেবা। ৫-৬টি পরিবহন কোম্পানির অধীনে বাসগুলো মহানগরীজুড়ে চলাচল করবে। যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করবে না এসব বাস। নির্ধারিত কাউন্টার থেকেই যাত্রী ওঠানামা করাবে। এমন উদ্যোগ নিচ্ছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। কয়েকদিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবও জমা দেবে সংগঠনটি। মালিক সমিতি বলছে, সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিয়ে নির্ধারিত জায়গায় কাউন্টার বসানো হবে। এতে একদিকে টার্গেট অর্থাৎ চুক্তি ভিত্তিতে কোনো চালক গাড়ি চালাতে পারবেন না। অন্যদিকে বাসের নিয়ন্ত্রণ চালক ও কনডাক্টরের কাছ থেকে মালিকের কাছে চলে আসবে। তারা ঘরে বসে গাড়ির আয় পেয়ে যাবেন। পাশাপাশি রাস্তায় চালকদের ওভারটেকিং প্রবণতা কমবে, সড়কে দুর্ঘটনাও কমে আসবে। বাসগুলো হবে উন্নতমানের, এ কারণে ভাড়াও হবে তুলনামূলক বেশি।

এ বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধের পাশাপাশি সুন্দরভাবে গাড়ি চালানোর জন্য ঢাকার রাস্তায় কাউন্টার সার্ভিস চালু করা হবে। কাউন্টার সার্ভিস চালু হলে বর্তমানে অবৈধভাবে চলা লোকাল, গেটলক ও সিটিং সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারি নিয়মে সিটিং সার্ভিস চালু হবে। সরকার যেভাবে বলবে গাড়ি সেভাবে চলবে।

কাউন্টার সার্ভিসে রংচটা ও ফিটনেসহীন, লক্কড়-ঝক্কড় বাস থাকবে না। সম্পূর্ণ নতুন ও দৃষ্টিনন্দন বাসে আরামদায়ক ভ্রমণ উপযোগী সিট থাকবে বলেও জানান তিনি।

খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কাউন্টার সার্ভিস চালু করছি। পুরো ঢাকার জন্য মোট ছয়টি পরিবহনের অধীনে বিভিন্ন রুটে বাস চলবে। ঈদের পর দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বৈঠক করব। তাদের কাছে রাস্তায় কাউন্টার তৈরি জন্য জায়গা চাইব।

তিনি আরো বলেন, ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন চালকরা যাতে ঢাকায় গাড়ি চালাতে না পারেন সে জন্য কাজ করছি। গত ৯ আগস্ট থেকে চুক্তিভিত্তিক গাড়ি যাতে না চলে, সে জন্য অভিযান চালাচ্ছি। এটা দ্রুত করতে পারলে কাউন্টার সার্ভিস চালু আরো সহজ হয়ে যাবে।

ঢাকা উত্তর সিটির প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক সুবজ ঢাকা গড়তে ৪ হাজার নতুন বাস নামানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে গুলশানে ঢাকার চাকা এবং মতিঝিল থেকে আবদুল্লাপুর পর্যন্ত গ্রিন ঢাকা পরিবহনের কাউন্টার সার্ভিস চালু হয়েছে।

সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে ছয় কোম্পানির অধীনে বাস চালানোর ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হবে। ‘আমাদের পথ, আমাদের হাতেই নিরাপদ’ শিরোনামে ওই সভায় ঢাকা দক্ষিণের মেয়র জানান, জাইকার অর্থায়নে মহানগরীর চারটি ইন্টারসেকশনে অর্থাৎ গুলিস্তান, পল্টন, মহাখালী ও গুলশান-১-এ ভেহিকুলার ইমেজ ডিটেক্টর ভিডিও ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে চলন্ত গাড়ির সংখ্যা কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা এবং লেন অনুসরণ করে গাড়ি চালানোর পাইলট প্রকল্পের কাজ চলছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close