নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ আগস্ট, ২০১৮

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

২৭ মামলায় গ্রেফতার ১১

নিরাপদ সড়কের দাবিতে গত আট দিন ধরে চলা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় গাড়ি ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মোট ২৭টি মামলা হয়েছে। গত রোববার বিকেল পর্যন্ত এসব মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় গতকাল পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ডিএমপির উপকমিশনার (ক্রাইম) মুনতাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মামলা ও গ্রেফতারের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষার্থীদের আটক বা গ্রেফতারের খবরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্কুল-কলেজের কোনো শিক্ষার্থীকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। এসব গুজব ছড়িয়ে ফায়দা নিতে চাচ্ছে তৃতীয় পক্ষ। গুজব সৃষ্টিকারীদেরও আইনের আওতায় নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মামলার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুলিশের মিরপুর ও উত্তরা বিভাগে তিনটি করে, ওয়ারী বিভাগে দুটি, রমনা ও মতিঝিল বিভাগে ছয়টি করে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া শাহবাগ, তেজগাঁও, লালবাগ ও গুলশান বিভাগে মামলা হয়েছে একটি করে। মামলাগুলোতে আসামি কারা জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা তো আর গাড়ি ভাঙচুর, মারামারি করেনি। এখানে তৃতীয়পক্ষ ঢুকে ভাঙচুর ও মারামারিসহ পুলিশের ওপর হামলা করেছে। সুতরাং ওইভাবে তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই ছাত্রছাত্রীর প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান। এক পর্যায়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যেই গত শনি ও রোববার ঢাকার ধানমন্ডিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘাতের ঘটনাও ঘটে। আন্দোলনের বিভিন্ন সময়ে ভাঙচুর করা হয় বেশকিছু গাড়ি। অষ্টম দিনের মতো আন্দোলনের রেশ রয়ে গেছে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে ঘরে ফিরে গেছে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, স্কুল-কলেজের কোনো শিক্ষার্থীকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষার্থীদের আটক বা গ্রেফতারের যে খবর ছড়িয়েছে তা ঠিক নয়। এ বিষয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, গত রোববার এবং তার আগের দিন শনিবার ধানমন্ডি এলাকায় সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকজন স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীদের পুলিশ রাস্তা থেকে আটক করে নিরাপদ হেফাজতে রাখে। পরে তাদের বাবা-মাকে ডেকে তাদের অভিভাবকের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবে গতকাল শাহবাগে যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে, সেখান থেকে আটক কাউকে হয়তো গ্রেফতার দেখানো হতে পারে। যদি তারা শিক্ষার্থী না হন। বহিরাগতদের শণাক্ত করে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তবে আটক বা গ্রেফতারের সঠিক কোনো তথ্য গণমাধ্যমকে জানায়নি ডিএমপি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close