রাজশাহী ব্যুরো

  ২১ জুলাই, ২০১৮

আত্মবিশ্বাসী লিটন বুলবুলের সংশয়

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে কি না সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। এর জবাবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বলছেন, জনভিত্তি নেই বলে এই ধরনের নানা অপপ্রচার চলছে। তিনি বলেছেন, ‘নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা’। গতকাল শুক্রবার রাজশাহী চেম্বার ভবন মিলনায়তনে এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রার্থীরা এসব কথা বলেন।

‘কেমন নির্বাচন চাই’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠকে চার মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, হাবিবুর রহমান ও মুরাদ মোর্শেদ ছাড়াও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, রাজশাহীতে এখন পর্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো আলামত নেই। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। ভোটাররা নির্বিঘেœ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি।

‘একজন মেয়র প্রার্থী নগরের সব জায়গা দখল করে পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার টাঙ্গিয়ে দিয়েছে। অন্য কোনো প্রার্থী এগুলো টাঙ্গানোর কোনো জায়গা রাখেনি। তারপরও ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিযোগ আমলেও নেওয়া হচ্ছে না।’

কর্মীদের গ্রেফতার ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে বুলবুল বলেন, ‘আমার ১৪০০ পোলিং এজেন্টকে নিজ বাড়ি থেকে ভোট কেন্দ্র যাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। এজেন্টরা যদি ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারে তাহলে নির্বাচন করে আমাদের কোনো লাভ নেই।’

‘ফলে ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত থাকব কি না সেটি নিয়ে এখন সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের যদি কোনো ঘটনা ঘটে তবে এর দায় নির্বাচন সচিব, রাজশাহী পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে নিতে হবে।’

মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের অভিযোগের প্রতিবাদ করেছেন আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন। আলোচনায় তিনি বলেন, খুলনা ও গাজীপুর নির্বাচন বিএনপি দেখেছে। সেখানে অনিয়ম হয়েছে এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তারা দিতে পারেনি। সে দুটিতে অনিয়ম হলে তারা এ সিটি নির্বাচনে অংশ নিতেন না।

‘আমি জোর দিয়ে বলছি, আমাদের পক্ষ থেকে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হোক বা কোনো অনিয়ম হোক; এমন কোনো কাজ আমরা করতে দেব না। আমাদের কর্মীদের ইতোমধ্যেই কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে, অতি উৎসাহী হয়ে কারো কিছু করার দরকার নেই; যাতে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হয়।’

বিএনপির কর্মীদের আটকের ব্যাপারে লিটনের কোনো করণীয় নেই বলে জানান। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় পুলিশ সন্দেহভাজনদের তালিকা তৈরি করে তাদের আটক করে থাকে; এটি পুলিশের বিষয়।

‘কেউ যদি পায়ে পাড়া দিয়ে আমাদের সঙ্গে তর্কে আসে, যুদ্ধে আসে বা ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতে আসে তাহলে তার অভিযোগ আমরা দিবই। এ ছাড়া এমন কোনো কাজ আমরা করিনি। অন্যায়ভাবে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগও দিইনি।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist