প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৭ জুলাই, ২০১৮

বিশ্ব নিয়ন্ত্রণকারী ১১ নারীর দ্বিতীয় শেখ হাসিনা

বিশ্ববাসীর আরো একবার অবাক হওয়ার পালা। অবাক বিস্ময়ে তারা দেখছে তরতর করে এগিয়ে যাওয়া দেশকে, ভৌগোলিক আয়তনের ছোট্ট বাংলাদেশকে। দেখল লাল-সবুজের এ দেশটি তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নতির পথে। আর এই উন্নতির জাদুকর আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নেতৃত্ব বিকাশে নিজেকে মেলে ধরেছেন আপনার মেধা, মনন আর যোগ্যতার মাপকাঠিতে। হেনরি কিসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ আজ উপচেপড়া উন্নয়নের এক জ্বলন্ত উদাহরণ। অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, শিক্ষানীতি, সংস্কৃতির সবটাই তার স্পর্শে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্র এর পুরোটাই তার রচিত।

মধুমতি আর বাইগারের প্রাঞ্জল ¯্রােতের স্পর্শে যার বেড়ে ওঠা, শৈশব থেকেই যার অদম্য সংগ্রামের মাঝে লালিত পালিত হওয়া। একটি বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্বের সান্নিধ্যে যার জীবন, একটি অসংলগ্ন জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে যার নেতৃত্ব শেখা। বিদ্যানিকেতন থেকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড সবটাই যার পদধূলিতে আজ বিখ্যাত হয়েছে। শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন সমাজ গঠন আর গণতন্ত্র, দারিদ্র্য রোধ থেকে নারীর এগিয়ে যাওয়ার মসৃণ পথ তৈরি, আর্থসামাজিক উন্নয়ন থেকে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নত এর প্রত্যেকটাই হয়েছে শেখ হাসিনার হাতে। বাংলা চিরভাস্বর হয়েছে যেমন রবীন্দ্র-নজরুলের কীর্তিতে, তেমনি বাংলাদেশ পরিচিতির পূর্ণতা পাচ্ছে তারই হাত ধরে। তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির হাল ধরেছেন। পাল উড়াচ্ছেন বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের। নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে। কখনো বঙ্গকন্যা, কখনো বীরসেনানি, আবার কখনোবা মানবতার জননী। তিনবারের সফলতম রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে এগিয়ে চলেছেন দুর্বার গতিতে।

তবে শুধু দেশেই নয়, বর্তমানে বিশ্বে ১১ জন নারী নেতৃত্বের মধ্যে শেখ হাসিনা রয়েছেন দ্বিতীয় সারিতে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রেকর্ড সংখ্যায় নারীরা নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছে যা বৈশ্বিক রাজনীতির চেহারা পাল্টে দিচ্ছে এবং জাতীয় আইনসভায় লিঙ্গ সমতা আনার ক্ষেত্রে অগ্রগতি ঘটিয়েছে। মেক্সিকোর সাম্প্রতিক নির্বাচনে দেশটির পার্লামেন্টে দুইটি কক্ষেই সমান সংখ্যায় নারী ও পুরুষ এমপিরা নির্বাচিত হয়েছে যে ঘটনা একটি ‘বড় মাইলফলক’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বে ১১ জন নারী নেতা রয়েছে যারা নিজ নিজ দেশের সরকার প্রধান। এর সঙ্গে ‘হেডস অব স্টেট’ অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় প্রধান ব্যক্তিদের নাম যোগ করা হয় তাহলে এই সংখ্যা হবে ২১। সূত্র বিবিসি।

২০১৭ সালে পিউ রিসার্চের এক গবেষণা মোতাবেক, গত অর্ধশতকে অন্তত এক বছর করে হলেও ১৪৬ দেশের মধ্যে ৫৬টি জাতি একজন নারী রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধান কিংবা রাষ্ট্রীয় প্রধান পেয়েছে। এর মধ্য ৩১টি দেশের নারী প্রধানদের শাসনকাল পাঁচ বছর মেয়াদি কিংবা তারও কম সময় এবং ১০টি দেশে কেবল এক বছরের মেয়াদ।

বর্তমানে সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে ক্ষমতায় থাকা নারী সরকার প্রধান জার্মানির অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। ২০০৫ সালে এই জার্মান নেতা দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সরকার প্রধান হিসেবে তার তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছেন।

এর বাইরে অন্যান্য নারী সরকার প্রধানদের মেয়াদ পাঁচ বছর বা তারও কম সময়ের। নিউজিল্যান্ডের জেসিন্ডা আরডের্ন, আইসল্যান্ডের নেতা কাটরিন জ্যাকবসডোত্তির এবং সার্বিয়ার আনা বার্নাবিক এরা সবাই ২০১৭ সালে নির্বাচিত হন।

নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এর্না সোলবার্গ নির্বাচিত হন ২০১৩ সালে। নামিবিয়াতে ২০১৩ সালে দায়িত্ব নেন সারা কুগংগেলাওয়া।

ব্রিটেনের টেরিজা মে ২০১৬ দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম লেখান। একই বছর অং সাং সু চি মিয়ানমারে দায়িত্ব নেন।

২০১৮ সালে নির্বাচিত ভিওরিকা ড্যান্সিলা রোমানিয়ার ইতিহাসে প্রথম কোনো নারী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। মিয়া মোটলি ২০১৮ সালে বার্বাডোজের প্রথম নারী প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন।

২০১৮ সাল নারীর ক্ষমতায়নের সেরা বছর : সাম্প্রতিক বছরে রাজনীতিতে নারীদের অর্জন অনেক। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই নারী সংসদ সদস্যদের সংখ্যা বেড়েছে ১৯৯৭ সাল থেকে যখন ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন বা আইপিইউ ভোটের ফল মিলিয়ে দেখা শুরু করল। দুই দশক আগে কেবল সুইডেন, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক এবং নেদারল্যান্ডসের ৩০% এর বেশি নারী সংসদ সদস্য ছিল। এর মধ্যে সুইডেন ৪০.৪% সদস্য নিয়ে তালিকার শীর্ষে ছিল।

২১ বছর পরে তালিকার শীর্ষে থাকা দেশগুলোর ক্ষেত্রে আরো বৈচিত্র্য এসেছে এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো টপকে যায় রুয়ান্ডা এবং মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশ। বলিভিয়া, গ্রেনাডা, মেক্সিকো, নিকারাগুয়া, কোস্টারিকা এবং কিউবার ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ এগুলো সবই শীর্ষ দশম অবস্থানে আছে যেখানে নারী সংসদ সদস্য সংখ্যা ৪০% শতাংশের বেশি। কিন্তু আইপিইউ এর জেন্ডার পার্টনারশিপ কর্মসূচির দায়িত্বে থাকা যেইনা হিলাল বলেন, নারী ও পুরুষের সমান প্রতিনিধিত্বের অগ্রগতির ধারা গেল দুই কিংবা তিন বছরে স্থির হয়ে আছে বলে মনে হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist