ক্রীড়া ডেস্ক
মডরিচের সান্ত¡না গোল্ডেন বলে
বিশ্বকাপে সাত ম্যাচ খেলে তিনি গোল করেছেন দুটি। গোলে সহায়তা করেছেন একটি। খেলেছেন ৬৯৪ মিনিট। ৭২.৩ কিলোমিটার দৌড়েছেন। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে প্রথমবারের মতো ফাইনালে তুলেছেন। অবশ্য ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরে গেছেন ৪-২ গোলে। নিঃশ্বাস দূরত্বে থাকা শিরোপাটা হাতছাড়া হলো তার। তবে দিন শেষে সান্ত¡না পুরস্কার হিসেবে তিনি পেয়েছেন গোল্ডেন বল।
এ যাত্রায় তিনি পেছনে ফেলেছেন বেলজিয়ামের ইডেন হ্যাজার্ড ও ফ্রান্সের অ্যান্তনিও গ্রিজমানকে। গোল্ডেন বল জয়ের দৌড়ে হ্যাজার্ড হয়েছেন দ্বিতীয়, গ্রিজমান তৃতীয়। ১০ নম্বর জার্সিধারী ক্রোয়াট অধিনায়ক লুকা মডরিচ মাঝমাঠ থেকে গোলের রসদ জুগিয়েছেন ফরোয়ার্ড লাইনে। কখনো কখনো অবতীর্ণ হয়েছেন ত্রাতার ভূমিকায়। গোল করতে ও গোল করাতে ছিলেন পারদর্শী। ক্রোয়েশিয়াকে প্রথমবারের মতো ফাইনালে তুলতে তার অবদান অনেক।
সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছিল ক্রোয়েশিয়া। সেখান থেকে সমতা ফেরানোর পর দলকে প্রথমবারের মতো ফাইনালে তুলতে অতিরিক্ত সময়ে হওয়া গোলটিতে অবদান রাখেন মডরিচ। এবারের বিশ্বকাপে তার পারফরম্যান্স চোখে পড়েছে সবার। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে গ্রুপপর্বের ম্যাচে তার দূরপাল্লার বাঁকানো শট থেকে করা গোলটি মুগ্ধ করেছে সবাইকে।
মডরিচ এ নিয়ে তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলে ফেললেন। ২০০৬ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে তিনি ক্রোয়েশিয়া দলের স্কোয়াডে ছিলেন। ২০১০ বিশ্বকাপে তারা খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল ক্রোয়াটরা।
"