যোগ্য দল হিসেবেই ক্রোয়েশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে এসেছে। নতুন একটি দল ফাইনালে এসেছে। এটা অবশ্যই ইতিবাচক একটা দিক। কখনো ভাবিনি ক্রোয়েশিয়া ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিতে পারবে। সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া যেভাবে সবকিছু উজার করে দিয়েছে খেলেছে তাতে তারা ফাইনালে ওঠার দাবিদার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তারা তাদের সেরা ফুটবলটা খেলেছে। সে কারণেই আজ তারা ফাইনালে। ভালো খেলেই জিতেছে ক্রোয়েশিয়া। ইংল্যান্ডের বিদায়টা ভালো হয়নি। তারা ফাইনালে উঠলে ফ্রান্স কিংবা ইংল্যান্ড দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিততে পারত। বিশ্বকাপের ওপর মনোযোগটা বেশি থাকত। এখন যা অবস্থা তাতে করে শিরোপা কারা জিতবে সেটা বলা যায় না। ফাইনালে যে দল সবকিছু মিলিয়ে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারবে তারাই শিরোপা জিতবে। কারণ সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড ফেভারিট হওয়া সত্ত্বেও সেরা খেলাটা খেলতে পারেনি। তাদের পেছনে ফেলে নতুন একটি দেশ ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে।
যোগ্য দল হিসেবেই ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া
ক্রোয়েশিয়ার এটা হবে প্রথম ফাইনাল। তারা শিরোপা জিতলে বিশ্বকাপজয়ী নবম দেশ হবে ক্রোটরা। ফ্রান্স এরই মধ্যে একবার শিরোপা জিতেছে। এ নিয়ে তৃতীয়বার ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে তারা। ফাইনালে জিতলে দুইবার শিরোপাজয়ী তৃতীয় দেশ হবে ফরাসিরা। তাদের আগে উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনা দুইবার করে শিরোপা জিতেছে। তারা ২০ বছর পর আবার শিরোপার স্বপ্ন দেখছে। আশা করছি ফাইনালটা জমজমাট হবে। অনেক ভালো একটা ম্যাচ হবে। যাতে সবাই তা উপভোগ করতে পারে। তবে এটা ঠিক দিনশেষে সেরা দুইটি দলই ফাইনালে এসেছে। উভয় দলেই ভালো ভালো পারফরমার আছেন।
লুকা মডরিচকে গোল্ডেন বল পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রাখব। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের সেরা স্বীকৃতি পেতে তার সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ। তিনি যত ম্যাচ খেলেছেন তার প্রত্যেকটাতেই ভালো খেলেছেন। গোল করেছেন; করিয়েছেন। দলকে প্রথমবারের মতো ফাইনালে তুলেছেন।
ফ্রান্সের দিক থেকে গোল্ডেন বলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকতে পারেন গোলরক্ষক হুগো লরিস। কিলিয়ান এমবাপ্পেকে উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার দেওয়া হতে পারে। কিন্তু গোল্ডেন বলের প্রশ্ন আসলে লুকা মডরিচকেই এগিয়ে রাখতে হবে। তবে আমার মনে হচ্ছে গোল্ডেন বুটটা জিততে চলেছেন সর্বোচ্চ ৬ গোল করা হ্যারি কেন। তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচে লুকাকু অতিমানবীয় কিছু না করলে কেনই জিতবেন সর্বোচ্চ গোলের খেতাব।
"