নিজস্ব প্রতিবেদক
তিন সিটি
আজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বসছে ইসি
রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খসড়া পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটের আগের দুই দিন থেকে পরদিন পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে। এসব পরিকল্পনার কথা জানাতে ও নির্দেশনা দিতে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সঙ্গে বসবে ইসি। পুলিশের আইজি, র্যাবের ডিজি, বিজিবি, আনসার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেবেন। নির্বাচন কমিশনাররা ছাড়াও তিন সিটির রিটার্নিং অফিসার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা থাকবেন। বৈঠকে সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়েই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ছক চূড়ান্ত করবে ইসি।
ইসি সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় বলা হয়, তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ২২ জন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ২৪ জন নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স এবং প্রতিটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে র্যাবের টিম এবং বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হবে। রাজশাহীতে ১৫ প্লাটুন, বরিশালে ১৫ প্লাটুন, সিলেটে ১৪ প্লাটুন বিজিবি নিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে ইসি। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটের দুই দিন আগে, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে একদিন মিলিয়ে চার দিন মাঠে থাকবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে র্যাব-পুলিশের টিম ও কয়েক প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে সংরক্ষিত রাখার সুপারিশও করেছে ইসি সচিবালয়।
এ ছাড়া প্রচারণা শুরু হয়েছে। তাই প্রার্থীদের আচরণবিধি তদারকি করার জন্য প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী হাকিম মাঠে নেমেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামার পর তাদের নেতৃত্বেও থাকবে নির্বাহী হাকিম। এ সময় তিনটি ওয়ার্ডের জন্য একজন করে বিচারিক হাকিমও নিয়োগ করবে ইসি। ইসি কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় নির্বাচনের আগে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর টার্গেট থাকবে যে কোনো মূল্যে জয়লাভ করা। এতে করে বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে এ তিন সিটির নির্বাচনে। এ পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলাসহ সব ক্ষেত্রে নতুন ছক করছে ইসি। রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলরদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ২৮ জুন। রিটার্নিং অফিসার ১ থেকে ২ জুলাই মনোনয়নপত্র বাছাই করবেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ ছিল গত ৯ জুলাই। উল্লেখ্য, আগামী ৩০ জুলাই রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটিতে ভোট হবে। কুমিল্লা ও রংপুর সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু করে প্রশংসা কুড়িয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু গাজীপুরে ভোটে অনিয়মের আভিযোগ করে পর্যবেক্ষকসহ বিভিন্ন মহল। এ কারণে এই তিন সিটিতে সুষ্ঠু ভোট করে আগের অভিযোগ ঘোচাতে চায় ইসি।
"