সংসদ প্রতিবেদক
বিল পাস
নারীদের ৫০ আসন সংরক্ষিত থাকছে আরো ২৫ বছর
আরো ২৫ বছরের জন্য জাতীয় সংসদের ৫০টি আসন শুধুমাত্র নারী সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত রেখে সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনী পাস করেছে সংসদ। এর আগে পর্যায়ক্রমে সংবিধানের ৬৫(৩) অনুচ্ছেদ আরো চারবার সংশোধনীর মাধ্যমে নারী আসনের মেয়াদ ও সংখ্যা বাড়ানো হয়। চলতি সংসদের মেয়াদান্তে এই বিধান অব্যাহত রাখতে এই সংশোধনী বিল পাস করা হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল রোববার সংসদের ২১তম অধিবেশনে দুই দফা বিভক্তি ভোট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) আইন-২০১৮’ নামে বিলটি পাস হয়। বিলের সংশোধনীর পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়ে ২৯৮টি এবং বিলের বিপক্ষে কোনো ‘না’ ভোট পড়েনি। ফলে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশকৃত আকারে বিলটি সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।
এর আগে সংশোধনীগুলোর ওপর হ্যাঁ ভোট পড়ে ২৯৫টি। সংসদের ৩৫০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে স্পিকার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করার কারণে এবং মৃত্যুজনিত কারণে একটি আসন শূন্য থাকায় মোট ভোট পড়ার কথা ছিল ৩৪৮টি। কিন্তু নারী সদস্যসহ এদিন সংসদে ৫০-৫৩ জন সংসদ সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। বিলের ওপর ৯ জন স্বতন্ত্র ও বিরোধী দলীয় সদস্যরা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলেও কেউ না ভোটে অংশ নেননি।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশ আকারে বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন। বিলের ওপর প্রায় ২ ঘণ্টা আলোচনা শেষে ভোট হয়। বিরোধী দলীয় সদস্যরা বিলটিকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে উল্লেখ করলেও আইনমন্ত্রী তা নাকচ করে দেন। এছাড়া ২৫ বছরের জন্য বিলটি পাস করার বিরোধিতা করেন।
বিলে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের (৩) দফার পরিবর্তে নি¤œরূপ (৩) দফা প্রতিস্থাপিত হবে। ‘(৩) সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধনী) আইন, ২০১৮ প্রবর্তনকালে বিদ্যমান সংসদের অব্যবহিত পরবর্তী সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে শুরু করিয়া ২৫ বৎসরকাল অতিবাহিত হইবার অব্যবহিত পরবর্তীকালে সংসদ ভাঙিয়া না যাওয়া পর্যন্ত ৫০টি আসন কেবল মহিলা-সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকিবে এবং তাহারা আইনানুয়ায়ী পুর্বোক্ত সদস্যদের দ্বারা সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির ভিত্তিতে একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হইবেন। তবে শর্ত থাকে যে এই দফার কোনো কিছুই এই অনুচ্ছেদের (২) দফার অধীন কোনো আসনে কোনো মহিলার নির্বাচন নিবৃত্ত করিবে না।’
"