ভাগ্যও ব্রাজিলের সঙ্গে ছিল না
ব্রাজিল-বেলজিয়াম ফিফটি-ফিফটি ম্যাচ ছিল। এসব ম্যাচে সুযোগ আসলে সেগুলো কাজে লাগানো উচিত। বেলজিয়াম ১০ মিনিটের মধ্যে ২ গোল করে ম্যাচটি তাদের জন্য সহজ করে তুলেছিল। ব্রাজিল অবশ্যই ভালো খেলেছে। কিন্তু তারা গোল করতে পারেনি। ২-২ করতে পারেনি, ২-১ গোলে হেরেছে। তবে বেলজিয়ামের চেয়ে ব্রাজিল ভালো খেলেছে। ম্যাচে ১০ মিনিটের ব্যবধানে ২টি গোল হজম করে তারা ব্যাকফুটে চলে যায়। অবশ্য ভাগ্যও সহায়তা করেনি ব্রাজিলকে। থিয়াগো সিলভার হেড বারে লেগেছে। কাসেমিরো খুব ভালো খেলছিল। নিষেধাজ্ঞার কারণে তার পরিবর্তে ফার্নানদিনহো আসলেন বেলজিয়ামের বিপক্ষে। তিনি অবশ্য নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তার আত্মঘাতী গোলেই পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। এরপর নেইমার ও অন্যদের অনেকগুলো শট রুখে দেন বেলজিয়ামের গোলরক্ষক। সব মিলিয়ে ব্রাজিলের ভাগ্যও সঙ্গে ছিল না। তাদের চেষ্টায় কোনো ত্রুটি ছিল না। সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে নেইমার-মার্সেলোরা।
সেমিফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে বেলজিয়াম। এই ম্যাচে যে জিতবে সে ফাইনাল খেলবে। এই লেন থেকেই এবারের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে। সেমিফাইনালে বেলজিয়ামকে এগিয়ে রাখা যায়। অবশ্য ফ্রান্স ভালো দল। তাদের দলে তরুণ খেলোয়াড়দের সংখ্যা বেশি। টিম কম্বিনেশন বেশ। খেলোয়াড়রা ছন্দে আছে। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৪-৩ গোলে জিতেছে। উরুগুয়ের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে। তারপরও বেলজিয়ামকে এগিয়ে রাখতে হবে।
ব্রাজিলের বিপক্ষে বেলজিয়ামের গোলরক্ষক থিবাউট কোর্তোয়া দারুণভাবে কামব্যাক করেছে। এটা বেলজিয়ামের জন্য ইতিবাচক দিন। সে ব্রাজিলের বিপক্ষে ৯টা দুর্দান্ত সেভ করেছে। এগুলো সেভ দেওয়ার পর একজন গোলরক্ষের কাছ থেকে আর কী প্রত্যাশা করতে পারেন?
উরুগুয়ের বিপক্ষে ফ্রান্স প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে। ফ্রান্স এই ম্যাচে ফেভারিট ছিল। উরুগুয়ের হয়ে কাভানি খেলতে পারেননি। আগের ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন। কাভানি থাকলে হয়তো উরুগুয়ে একটা ফাইট দিতে পারত। কিন্তু সে না থাকায় ফ্রান্সের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেনি লাতিন দলটি।
"