পাবনা ও বেড়া প্রতিনিধি
ঘুমন্ত মা খালা ও ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
পাবনার বেড়া উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত অবস্থায় মা, খালা ও ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তুহিন (২৫) নামে এক যুবক। গতকাল মঙ্গলবার ভোর রাতে উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের সোনাপদ্মা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ছেলে তুহিন পলাতক রয়েছে। নিহতরা হলেন তুহিনের মা বুলি খাতুন (৪০), ছোট ভাই তুষার (১০) ও খালা নসিমন (৫০)। তুহিন ওই গ্রামের মিঠু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঘাতক তুহিনের বাবা ও খালু ঢাকায় থাকেন। তাদের পরিবার আর্থিকভাবে অসচ্ছল। প্রায় তুহিনের সঙ্গে পরিবারের সবার সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ হতো। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তুহিনের মা বুলি খাতুনের সঙ্গে আবারও ঝগড়া হয়। এর জের ধরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে একটি ধারালো চাপাতি দিয়ে তুহিন ঘুমন্ত মা, ভাই ও খালা নসিমনকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় স্ত্রী রুনা আখতারের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তুহিন পালিয়ে যায়। তুহিনের স্ত্রী রুনা বলেন, সম্প্রতি তাদের বিয়ে হয়েছে। যা ঘটেছে তাতে তিনি খুব ভয় পেয়েছেন। তিনি আরো বলেন, মাস দুয়েক আগে তুহিন টাইফয়েড থেকে ভালো হয়েছে। সে আসলে কেন কিসের জন্য এমনটি করেছে আমি নিজেও বুঝতে পারছি না।
পরিবারের বরাত দিয়ে বেড়া থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন জানান, তুহিনের বাবা মিঠু শেখের বাড়ি নাটোর জেলায়, তিনি চাকরি করেন ঢাকায়। তবে তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে পাবনার বেড়ায় শ্বশুরবাড়িতেই থাকে।
বেড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশীষ বিন হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমার চাকরি জীবনে এ রকম বীভৎস হত্যাকান্ড দেখিনি। আমি স্তম্ভিত। তুহিনের স্ত্রী রুনা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তদন্তের পর পুরো ঘটনা বুঝা যাবে।
এদিকে, তুহিন মানসিক ভারসাম্যহীন বলে তার স্ত্রী দাবি করলেও পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানান তিনি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পাবনা পুলিশ সুপার জিহাদুল কবীর পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
"