ক্রীড়া ডেস্ক
কেনের হ্যাটট্রিকে চূর্ণ পানামা
ইংল্যান্ড ৬ - ১ পানামা
আগের ম্যাচে করেছেন জোড়া গোল। কাল তো নিজেকে ছাড়িয়ে গেলেন হ্যারি কেন। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের মঞ্চে করলেন হ্যাটট্রিক। তার সঙ্গে জন স্টোনসের ডাবলস নৈপুণ্য এবং জেসে লিনগার্ডের নিশানাভাদ। নবাগত পানামাকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলাই করল ইংলিশরা। কনকাকাফ অঞ্চলের দলটিকে ৬-১ গোলে চূর্ণ করেছে থ্রি লায়নরা। ফুটবল মহাযজ্ঞে এই ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় জয়ের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল।
দাপুটে এই জয়ে ‘জি’ গ্রুপ থেকে নক আউট পর্বে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে গেল থ্রি লায়নদের। এখান থেকে শেষ ষোলোতে উঠেছে বেলজিয়াম। তবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে কোন দল সেটার উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। কারণ সেদিনই যে মুখোমুখি হচ্ছে গ্রুপের শীর্ষ দুইটি দল।
অবশ্য পানামা যে ইংলিশদের সঙ্গে পেরে উঠবে না সেটা এক ধরনের অনুমিতই ছিল। ফুটবলপ্রেমীদের রোমাঞ্চ ছিল থ্রি লায়নদের জয়ের ব্যবধান কেমন হবে তা নিয়েই। অনুমানটাই সত্যি হলো। নবাগত দলটিকে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিল গ্যারেথ সাউথগেটের ছাত্ররা। পানামার বিপদসীমায় প্রায় ১ ঘণ্টার কী ঝড়টাই না বইয়ে দিয়েছিলেন কেনবাহিনী। তবে ইংল্যান্ডের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পরও খুব একটা হতাশ হয়নি পানামা। বরং খুশি হয়েছে তারা। তাদের খুশির উপলক্ষ এনে দিয়েছে বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিজেদের প্রথম ও একমাত্র গোল। সাত গোলের ম্যাচটির শেষ উদ্যাপন করেছে নবাগত দলটিই। ফিলিপ বালয় ৭৮ মিনিটে পানামার জার্সিতে গোলটি করেন। এই গোলের উল্লাসে পানামা ফুটবলাররা হার মানিয়েছে ইংল্যান্ডের উদ্যাপনকে।
এর আগে পানামার বিপদসীমায় আক্রমণের ঝড় বইয়ে দেয় ইংল্যান্ড। মুহুর্মুহু আক্রমণে নবাগত দলটির রক্ষণদুর্গকে তটস্থ করে রাখেন ইংলিশদের দুর্দান্ত আক্রমণভাগ। এই ঝড়ের শুরুটা হয় ৮ মিনিটে স্টোনসের সৌজন্যে। সমাপ্তি টানেন হ্যারি কেন। মাঝে একটি গোল করেছেন লিংগার্ড। তবে ম্যাচের সবচেয়ে বেশি ৩ গোল করেছেন কেন।
অবশ্য কেনের হ্যাটট্রিক গোলের দুইটিই এসেছে পেনাল্টি থেকে। সব মিলিয়ে এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপে তার গোল হলো ৫টি। গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে তিনিই এখন সবচেয়ে বেশি এগিয়ে। ৪ গোল করে তার পেছনে আছেন পর্তুগিজ উইঙ্গার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও বেলজিয়ান স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু।
"