গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুর সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে ব্যবস্থা : সিইসি
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয় এবং এর পেছনে প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকেন, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ভোটকেন্দ্রে যেকোনো ধরনের কারচুপি রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে। ভোটাররা যেন ভোটকেন্দ্রে স্বাভাবিকভাবে আসতে পারেন এবং নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন; সে বিষয়েও নজর রাখতে হবে। গতকাল বুধবার গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে সিইসি নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষ থাকতেও নির্দেশনা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, গাজীপুরে ছয়টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করার প্রস্তুতি চলছে।
সিইসি বলেন, গাজীপুরে এ পর্যন্ত যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আছে, আমি সন্তুষ্ট। নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়, যেই ব্যক্তি দায়ী হয় তার বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। ২৬ তারিখ (জুন) কীভাবে নির্বাচন হবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কী দায়িত্ব থাকবে, প্রশাসনের কী ভূমিকা থাকবে, আমাদের পরিকল্পনা কী থাকবে- এসব বিষয় নিয়ে আমরা মতবিনিময় করেছি। আমাদের আলোচনা এবং মতবিনিময় সফল হয়েছে। আশাকরি নির্বাচন হবে সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশাসন স্টাপিং করে এ কথা একবারেই আমি প্রত্যাখ্যান করি। প্রশাসন স্টাপিং করার সুযোগ দেয় না, সহযোগিতা করে না। স্টাপিং করার জন্য কিছু দুষ্কৃতকারী লোক থাকে এবং তারা চেষ্টা করে। খুলনায় যেমন তারা চার-পাঁচটা কেন্দ্রে স্টাপিং করার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু অন্যান্য কেন্দ্রে স্টাপিং হয়নি। সেগুলোতে ভালাে নির্বাচন হয়েছে। এখানে প্রশাসন সার্বত্মক চেষ্টা করবে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য। এ রকম আমাদের কাছে তারা অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সেখানে (খুলনায়) এত প্রস্তুতি থাকার পরও কেন ভোট স্টাপিং হলো এ বিষয়ে কথা হয়েছে। এখানে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য যারা ছিলেন তারা আমাদের কথা দিয়েছেন গাজীপুরে সেটা হবে না।’
মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, সিটি নির্বাচনের বিটানিং অফিসার রকিব উদ্দিন মন্ডল, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আজম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
"