খুলনা ব্যুরো

  ১৪ জুন, ২০১৮

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

খুলনা জেলা ও দায়রা জজ স্ট্যান্ড রিলিজ

আদালতের বিচারিক কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আনোয়ারকে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব (প্রশাসন-১) মো. মাহবুবার রহমান সরকার স্বাক্ষরিত (৪১৩-/১(১৩)-বিচার-৩/১টি-০১/২০১৭) স্মারকে মঙ্গলবার এ আদেশে দেওয়া হয়।

আদেশে বলা হয়, জেলা জজ জেসমিন আনোয়ার খুলনার জেলা জজের বর্তমান পদের দায়িত্বভার ছেড়ে দিয়ে পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করে অবিলম্বে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন।

উল্লেখ্য, খুলনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জেসমিন আনোয়ারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। খুলনার বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীদের জামিনে মুক্তিসহ কালোবাজারিদের বিভিন্ন মামলায় জামিনে মুক্ত করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে গত ১৫ এপ্রিল আইনমন্ত্রীর নিকট খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এম মুজিবর রহমান, অ্যাডভোকেট গাজী আবদুল বারী, অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা ফারাজী, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ হোসেন বাচ্চু, শেখ ইউনুস আহম্মেদ, শেখ সোহরাব হোসেন, আবদুুল মালেক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিনা মিজানুর রহমান, শেখ নূরুল হাসান রুবা, মোল্লা মোহাম্মদ মাসুম রশিদসহ সিনিয়র আইনজীবীরা আইনমন্ত্রীর নিকট লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আনোয়ারের বিরুদ্ধে আনা ওই অভিযোগের সঙ্গে একমত পোষণ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দ এমপি, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান এমপি, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা এমপি তাকে অবিলম্বে খুলনা থেকে প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে আইনমন্ত্রীর নিকট লিখিতভাবে সুপারিশ করেন।

সূত্র জানায়, আইনজীবীদের উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আনোয়ারকে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় থেকে কারণ দর্শানোর নোটিস প্রদান ও তাকে খুলনা থেকে চট্টগ্রামের লেবার কোর্টে বদলি করা হয়। কিন্তু কোনো অদৃশ্য কারণে তার বদলির আদেশ স্থগিত করা হয়।

আইনজীবীদের লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ হিসাবে জেসমিন আনোয়ার যোগদানের পর থেকেই অনৈতিক ও অবিচারিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। এ ছাড়া তিনি অর্থের বিনিময়ে মাদক ব্যবসায়ীদের একের পর এক জামিন দিয়ে বিতর্কিত হয়ে পড়েন। এ ছাড়া সরকারি বাসভবনে বসবাস করেও তিনি ‘বাড়ি ভাড়া করে বসবাস করছেন’ দেখিয়ে ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। যদিও জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আনোয়ার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist