নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদ টিকিট বিক্রি শুরু ১ জুন
এবার থাকছে সাত জোড়া বিশেষ ট্রেন : রেলমন্ত্রী
‘এবারের ঈদে ট্রেনযাত্রীরা সময়মতো বাড়ি ফিরতে পারবেন। শিডিউল মেনটেইন শতভাগÑগত বছরও ছিল, এ বছরও হবে। শিডিউল মেনটেইন অবশ্যই আমাদের দায়িত্ব’Ñএমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রেলওয়ে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী এই আশার কথা বললেন। এসময় তিনি এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেলওয়ের কর্মপরিকল্পনাও তুলে ধরেন। এছাড়া পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ১ জুন থেকে বিক্রি শুরু হবে বলে জানান।
মুজিবুল হক বলেন, এবার বিশেষ সাত জোড়া ট্রেন দেওয়া হবে। এগুলো হলো ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রেলপথে দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রেলপথে চাঁদপুর স্পেশাল-১ ও চাঁদপুর স্পেশাল-২, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রেলপথে রাজশাহী স্পেশাল, পার্বতীপুর-ঢাকা-পার্বতীপুর রেলপথে পার্বতীপুর স্পেশাল। এই পাঁচটি স্পেশাল ট্রেন ঈদের আগে আগামী ১৩ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত চলবে। আর ঈদের পরে চলবে ১৮ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত।
এ ছাড়া ঈদের দিন চলবে বাকি দুটি স্পেশাল ট্রেন। ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে চলবে শোলাকিয়া স্পেশাল-১ ও ২ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে চলবে শোলাকিয়া স্পেশাল-২।
রেলমন্ত্রী বলেন, ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি চলবে আগামী ১ থেকে ৬ জুন পর্যন্ত। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে টিকিট দেওয়া হবে। ১ জুন দেওয়া হবে ১০ জুনের টিকিট। তেমনি ২ জুন ১১ জুনের টিকিট, ৩ জুন ১২ জুনের টিকিট, ৪ জুন ১৩ জুনের টিকিট, ৫ জুন ১৪ জুনের টিকিট এবং ৬ জুন ১৫ জুনের টিকিট দেওয়া হবে। ফিরতি টিকিট ছাড়া হবে ১০ জুন থেকে।
ঈদ উপলক্ষে পৌনে তিন লাখ যাত্রী যেতে পারবে মন্তব্য করে রেলমন্ত্রী বলেন, রেলে সাধারণ সময়ে ২ লাখ ৬০ হাজার জন যাত্রী চলাচল করতে পারে। ঈদ উপলক্ষে সর্বোচ্চ তিন লাখ মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারবে বলে আশা করা যায়। এর চেয়ে বেশি যাত্রী নেওয়া তো সম্ভব নয়।
রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে টিকিট বিক্রি হবে। একজন যাত্রীকে একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট দেওয়া হবে এবং এই টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না। কমলাপুর রেলস্টেশনের ২৬টি কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে দুটি কাউন্টারে নারীদের জন্য সংরক্ষিত। মোট টিকিটের ৭৫ শতাংশ কাউন্টারে এবং বাকি ২৫ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
"