নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীতে এটিএম বুথে গলাকাটা লাশ
রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) একটি এটিএম বুথের ভেতর থেকে শেখ তৌহিদুল ইসলাম নূরন্নবী (২২) নামে এক নিরাপত্তাকর্মীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ৮টার দিকে নতুন ডিউটিতে এসে অপর নিরাপত্তাকর্মী বুথের ভেতর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। নিহতের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের হাসনাবাদে। জিএসএস-গ্লোবাল নামের বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের ওই কর্মী ইবিএল বুথে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। পুলিশ বলছে, বুথের টাকা লুট হয়নি। ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি মাহবুবর রহমান বলেন, ক্যান্টনমেন্ট পোস্ট অফিসের ভবনে ইবিএল বুথ। পোস্ট অফিস ভবনের সঙ্গে বাস স্টপেজ। সোমবার সকাল ৮টায় নতুন নিরাপত্তা কর্মী এসে বুথের ভেতর তৌহিদকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে। তার গলায় উপর্যুপরি একাধিক গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে আলামত জব্দ করেছে। পাশাপাশি পুলিশও পুরো ঘটনার তদন্ত করছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে।
এটিএম বুথের কোনো টাকা খোয়া গেছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘একটি সুরক্ষিত এলাকার মধ্যে কীভাবে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে, তা আমরা তদন্ত করছি। এজন্য এটিএম বুথের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ইস্টার্র্ন ব্যাংকের মাধ্যমে জব্দ করা হয়েছে। তবে ওই বুথ থেকে কোনো টাকা চুরি হয়নি। তাহলে কেনই-বা তাকে হত্যা করা হলো? এজন্য আমরা বিষয়টির সঙ্গে পারিবারিক কোনো কারণ জড়িত আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছি।’
পুলিশের অপর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে সেখানে তখন বুথের সিসিটিভি সংযোগ বন্ধ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে কিছুটা সন্দেহ রয়েছে। ঘটনার আগে বা পরের ফুটেজ সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজের সংযোগ কেন বন্ধ ছিল, তা নিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষও কাজ করছে।
ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের হেড অব ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশনস জিয়াউল করিম বলেন, বুথ থেকে কোনো টাকা খোয়া যায়নি। বুথের এটিএম মেশিনের ভল্ট ভাঙার আলামতও মেলেনি। নিহত ব্যক্তি জিএসএস-গ্লোবাল নামের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের কর্মী। তারা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ইবিএলের বুথের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন।
"