আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আনন্দ অশ্রুতে রাজকীয় বিয়ে
অভিনেত্রী মেগান হলেন ‘ডাচেস অব সাসেক্স’
জমকালো অনুষ্ঠানে মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করলেন প্রিন্স হ্যারি। গতকাল শনিবার ক্যাসলের সেন্ট জর্জ গির্জায় ব্রিটিশ রানী ও ৬০০ অতিথির সামনে এই যুগল প্রতিশ্রুতি বিনিময়ের পর পরস্পরকে আংটি পরিয়ে দেন। সাদা পোশাকে মেগান প্রথমবারের মতো বধূবেশে জর্জ চ্যাপেলে পৌঁছানোর পর চোখের পানি মুছতে দেখা যায় প্রিন্স হ্যারিকে। আর এই বিয়ের মাধমে রানী এলিজাবেথের ঘোষণা অনুযায়ী প্রিন্স হ্যারি ‘ডিউক অব সাসেক্স’ ও তার স্ত্রী মেগান ‘ডাচেস অব সাসেক্স’ উপাধিতে ভূষিত হলেন।
রাজ পরিবারের ষষ্ঠ উত্তরসূরি প্রিন্স হ্যারির বিয়ের এ দৃশ্য বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ টেলিভিশনে লাইভ দেখেন। মেগানের মাথা-মুখ যে পর্দার আড়ালে ছিল, সেই সাদা নেটের পর্দায় ১৯৩২ সালের ব্যবহৃত একটি হীরকখ- দেখা যায়।
এর আগে ব্রিটিশ নকশাকার ক্লেয়ার ওয়েইট কেলারের করা একটি পোশাক পরা কনে মার্কেলকে হ্যারির বাবা প্রিন্স চার্লস গির্জার করিডর দিয়ে মূল অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে আসেন। প্রিন্স হ্যারি ও মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন প্রবীণ ও তারকা অতিথিরা। ৬০০ অতিথির উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন তারা। পরে হ্যারি মেগানের হাত ধরে বলেন, তোমাকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে, আমি তোমাকে ভীষণ মিস করেছি। পরে হ্যারি তার বাবাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ধন্যবাদ বাবা।
হ্যারির চোখের পানি মুহূর্তে হাসিতে মিলে যায়। বিয়ের শপথ পাঠের সময় দুজনকেই হাস্যোজ্জ্বল দেখায়।
রানী এলিজাবেথ এবং তার স্বামী এডিনবরার ডিউক বাদে রাজপরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রিন্স হ্যারির ভাই ডিউক অফ ক্যামব্রিজ উইলিয়াম, মামা আর্ল স্পেন্সার, ডাচেস অফ ইয়র্ক সারাহ ফার্গুসন, মার্কিন জনপ্রিয় উপস্থাপিকা অপরাহ উইনফ্রে, জর্জ ও আমাল ক্লুনি, ডেভিড ভিক্টরিয়া বেকহ্যাম এবং এল্টন জন উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মেসহ কোনো রাজনীতিককে এই অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কারণ এটি কোনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান ছিল না।
বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাজপরিবারের নতুন এই দম্পতি ঘোড়ায় চড়ে শহরে ঘুরতে বের হন। এ সময় লন্ডনের রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে থাকা লাখ লাখ মানুষ হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানায় হ্যারি ও মেগানকে।
প্রসঙ্গত, উইন্ডসর প্রাসাদে এই প্রথমবারের মতো সাধারণ জনগণের মধ্য থেকে ১ হাজার ২০০ ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ১৯৯৭ সালে প্রিন্স হ্যারির মা প্রিন্সেস ডায়ানার বিয়ের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাকে ‘পিপলস প্রিন্সেস’ অর্থাৎ জনগণের রাজকুমারী হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। কিন্তু নানা আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই বিয়েও জনগণের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে।
"