ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

  ১৬ মে, ২০১৮

নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি

স্কুলছাত্রীকে এক বছর ধরে ধর্ষণ

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গাবলা গ্রামের ৬০ বছর বয়সী গ্রাম্য মাতবর হাফিজ উদ্দীন মোল্লা। সে এক স্কুলছাত্রীর নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এবং তার একমাত্র ভাইকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে এক বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাফিজ উদ্দীন মোল্লা একই গ্রামের মৃত বিলাত আলী মোল্লার ছেলে।

নবম শ্রেণিতে পড়–য়া হতদরিদ্র পরিবারের ওই স্কুলছাত্রীকে লম্পট হাফিজ মোল্লার ক্রমাগত ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচাতে বিয়ে দিয়েও রক্ষা পায়নি তার পরিবার। একমাত্র ভাইকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার হুমকি দেখিয়ে বিয়ের পর আবারও ধর্ষণ করে হাফিজ মোল্লা। উপায়ান্তর না পেয়ে গত সোমবার দুপুরে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি শৈলকুপা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।

মেয়েটির ভাবি অভিযোগ করেন, হাফিজ উদ্দীন মোল্লা এক বছর ধরে আমার ননদকে হুমকি ধমকি দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছে। তখন সে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ননদকে শাসন করতে গেলে সে জানায়, ‘রাজি না হলে তার ভাইকে হত্যার হুমকি দিত হাফিজ মোল্লা। এ জন্য তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য হই।’ মেয়েটির ভাবি আরো জানান, হাফিজ মোল্লা গ্রামের মাতবর। সে ধনী ও প্রভাবশালী মানুষ। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে না। তিনি আরো জানান, ‘হাফিজ মোল্লার লালসা থেকে বাঁচতে ননদকে না পড়িয়ে অল্প বয়সে আমরা একদিনেই হরিণাকুন্ডুর ভায়না গ্রামে বিয়ে দিয়েছি। বিয়ের পরও ভয়ভীতি দেখিয়ে সে আমার ননদকে নানা স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করছে। সর্বশেষ গত ৮ দিন আগে ঝিনাইদহে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছে। ওই দিন তাকে ধর্ষণ করে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে বসিয়ে রেখে চলে যায়।’

ধর্ষিতার অভিযোগ, এলাকার স্কুলপড়–য়া মেয়েরা হাফিজ মোল্লার লালসার শিকার হয়। এ পর্যন্ত সে গাবলা গ্রামের ৭-৮টি মেয়েকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেছে। তার হাত থেকে তার আপন ভাগ্নিও বাদ যায়নি। বিষয়টি নিয়ে হাফিজ উদ্দীন মোল্লা বলেন, ‘আমার প্রতিপক্ষরা এই মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়ে আমাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে।’ অভিযুক্ত হাফিজের ভাই অবসরপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টার মনিরুল ইসলাম জানান, একজন বিবাহিত মেয়ের পিছু নিয়ে তার ভাই অপরাধ করেছে। বিষয়টি নিয়ে শৈলকুপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী জানান, তিনি শৈলকুপা থানার ওসিকে বিষয়টি তদন্ত করে মামলা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, গত সোমবার মেয়েটিকে থানায় দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাকে এক বছর ধরে ভয় ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। বিয়ের পরও সে ধর্ষণ থেকে রেহাই পায়নি। ওসি আরো বলেন, এ ব্যাপারে আমরা ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে রাতেই ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist