বগুড়া প্রতিনিধি

  ১৫ মে, ২০১৮

বগুড়ায় ধানখেতে ৪ লাশ

টার্গেট ছিল দুইজন দেখে ফেলায় হত্যা অপর ২ জনকেও

বগুড়ার শিবগঞ্জে ধানখেতে চার খুনের রহস্য উদ্ঘাটন হওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, ইয়াবা বিক্রির ৬ হাজার টাকা নিয়ে বিরোধে দুজনের হত্যার ঘটনা দেখে ফেলায় অন্য দুজনকেও হত্যা করে খুনিরা। গতকাল সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা। ওই হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতারের কথাও জানান তিনি। গ্রেফতাররা হলেনÑ শিবগঞ্জের কাঠগড়া চকপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে জুয়েল শেখ, চন্দনপুর তালুকদারপাড়ার আবদুস সামাদের ছেলে আবুল কালাম আজাদ ও ডাবইর গ্রামের মৃত আবু বক্করের ছেলে মো. রুবেল।

নিজ সভাকক্ষে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ জানান, খুনিদের টার্গেট ছিল দুজন। কিন্তু ওই দুজনকে হত্যার ঘটনা জেনে ফেলায় অপর দুজনকেও গলা কেটে হত্যা করে খুনিরা। এই নৃশংস হত্যাকান্ডে মোট ৯ জন অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। গ্রেফতাররা মাদক কারবারে জড়িত। তাদের মধ্যে দুজন চারজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে। তাদের মধ্যে জুয়েলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আরো জানান, হত্যার দু-তিন দিন আগে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ সময় খুনিরা আটমুল ইউনিয়নের কাঠগড়া চকপাড়ার আছির উদ্দিনের ছেলে শাবরুল ইসলাম শাবুল ও একই এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে মো. জাকারিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তারা বলে যে, ‘ওরা দুইজন বেশি বেড়ে গেছে, ওদের সাইজ করতে হবে।’ সেই অনুযায়ী গ্রেফতার রুবেলের বাড়িতে মাদক সেবনের কথা ও পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে দুজনকে নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের ডাবইর ধান খেতের মধ্যে নিয়ে গিয়ে হাত বেঁধে ধারালো ছোরা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে খুনিরা। শাবুল ও জাকারিয়াকে হত্যার পর ওই খেতের পাশ দিয়ে জয়পুরহাটের কালাইয়ের পুনট গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে মোহাম্মদ হেলাল ও নান্দাইলদীঘি গ্রামের শামছুদ্দিন মন্ডল শ্যাম্পুর ছেলে খবির হোসেন ওরফে বাউশাকে যেতে দেখে খুনিরা। পরে তাদেরও ডাক দেয় তারা। এ সময় দুজনের গলাকাটা লাশ এজন দেখে ফেলেন। আর এই কারণেই হেলাল ও খবিরকে হত্যা করা হয়।

ঘটনার পরই জড়িতদের গ্রেফতারে মাঠে নামে পুলিশ সদস্যরা। গতকাল সোমবার ভোরে জুয়েলকে শিবগঞ্জের কাটগড়া থেকে, আবুল কালাম আজাদকে গত রোববার রাতে উপজেলার গণেশপুর থেকে এবং রুবেলকে কিচক থেকে গ্রেফতার করা হয়।

সংবাদ সম্বেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল জলিল, মোকবুল হোসেন, সনাতন চক্রবর্তী, ওসি ডিবি নূরে আলম সিদ্দিকী, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির ইনসপেক্টর আছলাম আলী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ মে শিবগঞ্জের ডাবইর ধান খেতের মধ্য থেকে নিহতদের হাত পিছন দিক দিয়ে মোড়া করে বাধা থাকা লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল জলিলকে প্রধান করে গঠিত বিশেষ তদন্ত টিম গঠন করা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist