আদালত প্রতিবেদক
মতবিনিময় সভায় প্রধান বিচারপতি
নারী নির্যাতনে সাজা কেন কম খতিয়ে দেখা দরকার
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় সাজার হার মাত্র ৩ শতাংশ বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব মামলায় কেন সাজার হার কম, তা খতিয়ে দেখা দরকার। গতকাল শনিবার সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে ‘উচ্চ আদালতে সরকারি আইনি সেবা : বিচার প্রার্থীগণের প্রত্যাশা ও জেল আপিল মামলা পরিচালনায় আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা ও করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় সাজা কম হওয়ার কারণে হতাশ হলে হবে না। ওয়ার্কশপ করলে এর কারণ বের করা সম্ভব। এ জন্য একটি কর্মশালা করাও প্রয়োজন। অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা দিতে ২০০০ সালে প্রণীত আইনে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এর ব্যাপ্তি তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছেছে। সময়ের প্রয়োজনে এ আইনটিও যুগোপযোগী করা হয়েছে। এর অধীনে নীতিমালা ও প্রবিধানমালাও হালনাগাদ করা হয়েছে।’ প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, ‘আমি জেনে খুশি হয়েছি, বিগত ৯ বছরে মোট তিন লাখ ৫৯৮ জন ব্যক্তিকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আগত জেলা জজদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘জেলখানার অভ্যন্তরে থাকা কারাবন্দিদের খোঁজখবর নিন। তাদের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে অবহিত হোন। অনিয়ম থাকলে কর্তৃপক্ষের নজরে আনুন। বিনাবিচারে আটক থাকলে তাদের আইনি সহায়তার উদ্যোগ নিন।’
প্রধানবিচারপতি বলেন, ‘জেল আপিল মামলা নিষ্পত্তির জন্য পৃথক একাধিক বেঞ্চ গঠন করা যায় কি না, তা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে। উচ্চ আদালতে সরকারি আইন সেবার মান উন্নয়নে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের আন্তরিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।’
জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার সুপ্রিম কোর্ট কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী, উপকারা মহাপরিদর্শক কর্নেল ইকবাল হাসান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহিন আনাম প্রমুখ।
"